রাজশাহীতে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা আত্মসাৎ; প্রতারকচক্রের ৫জন গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারকচক্রের ৫  সদস্যকে গ্রেফতার করেছে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। গতকাল শুক্রবার(১৯ নভেম্বর)  বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।এ সময় আসামীদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৪টি ল্যাপটপ, ১টি ডেস্কটপ, ৯টি মোবাইল ফোন সেট, ১৬টি ভুয়া নিয়োগপত্রসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধার হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন- রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন মো. আদিলুজ্জামান আদিলের ছেলে মো.মোহসিইউ জামান অমি (৩০), রাজপাড়া থানাধীন বহরমপুরের মো. রিয়াজুল ইসলামের ছেলে মো. রিদুয়ান ইসলাম রুপ (২১), রাজশাহী জেলার বাগমারা থানাধীন পশ্চিম পালোপাড়ার মো. আবুল কাসেমের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (২৫), বগুড়া জেলার গাবতলী থানাধীন সাহবাসপুর গ্রামের মো. রঞ্জু মিয়ার ছেলে মো. রাব্বি হাসান (২৮),  ও জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল থানাধীন দাশরা খানপাড়ার মো. এমদাদুল হকের ছেলে মো. আরাফাত হোসেন শুভ (২২)।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, কতিপয় ব্যক্তি নর্দান ইলেকট্রিসিটি এন্ড সাপ্লাই লিমিটেড (নেসকো) এর বিভিন্ন পদে চাকুরির জন্য সাধারণ জনগণের নিকটে টাকার বিনিময়ে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করছে। ঢাকা মহানগরীর মুগদা থানাধীন উত্তর মুগদাপাড়ার মো. রইচ উদ্দিন মুন্সির ছেলে মোক্তাল হোসেন মোতালেব (৫৩)এর এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।

মামলার পরে বোয়ালিয়া মডেল থানার একটি টিম শুক্রবার সকাল ১০ টা -বেলা আড়াইটা পর্যন্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে নগরীর উপ-শহর এলাকা হতে আসামী মো. মোহসিইউ জামান অমিকে গ্রেফতার করেন।গ্রেফতারকৃত আসামীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজপাড়া থানার তেরখাদিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকায় হতে অন্যান্যদের গ্রেফতার করেন। এ সময় আসামীদের অফিস হতে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ০৪টি ল্যাপটপ, ০১টি ডেস্কটপ, ০১টি প্রিন্টার, নেসকো লিমিটেড এর বিভিন্ন পদে চাকুরির ১৬টি ভুয়া নিয়োগপত্র, ২৪টি স্ট্যাম্প, নেসকো কোম্পানীর লোগো সম্বলিত ব্যানার ১টি, ভোটার আইডি কার্ড ২০ টি, মোবাইল ফোন সেট ৯টি, ১টি মোটর সাইকেল উদ্ধার হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা জানায়, আসামী মোহসিইউ জামান অমি নিজেকে নেসকো লিমিটেড এর সহকারী প্রকৌশল হিসেবে পরিচয় দিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্রগুলো চাকুরি প্রত্যাশীদের প্রদান করে টাকা নিতো। আসামী মো. রিদুয়ান ইসলাম কম্পিউটার প্রশিক্ষক ও নিয়োগপত্র তৈরির কাজগুলো করতো এবং অন্যান্য আসামীরা প্রতারণার কাজে সহায়তা করতো। আসামীরা ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করে সাধারণ জনগণকে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

জেএ/এফ