রাজশাহীতে জমে উঠেছে অনলাইনে ক্লাস, শঙ্কিত শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা ভাইরাসের প্রভাবে পুরো বিশ্বজুড়ে নেমে এসেছে স্থবিরতা। এবং তার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায়। স্কুল,কলেজ বন্ধ থাকলেও অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা চলছে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীদের।

সারাদেশের ন্যায় রাজশাহীর সরকারি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ গুলোতেও চলছে অনলাইন ক্লাস পরীক্ষা। অন্যন্য মেডিক্যাল কলেজ গুলোর মতোও রাজশাহী নগরীর ইসলামি ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজ,বারিন্দ মেডিক্যাল কলেজেও নিয়মিত চলছে অনলাইন ক্লাস এবং পরীক্ষা। আর এই অনলাইন ক্লাস পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের উপর সৃষ্টি করছে অতিরিক্ত চাপ।

শিক্ষার্থীরা বলছেন,অনেক শিক্ষার্থীর বাড়ি গ্রামে হওয়ায় দুর্বল ইন্টারনেটের কারণে অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হওয়াটাও অনেক সময় তাদের জন্য কষ্টকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মেডিক্যাল শিক্ষার্থী জানান, অনলাইনে তাদের নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা হলেও তারা তাদের প্র্যাকটিক্যাল বিষয়গুলোতে তারা বেশ পিছিয়ে যাচ্ছে। মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা প্রফ,যেটাতে টার্মে পাশ করার ফলে বসতে সুযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু প্রফ এক্সামে সরকারি বেসরকারি মেডিক্যালের শিক্ষার্থীরা একসাথে পরীক্ষা দেয়,আমরা আগে সব ধাপ পার করে রাখলেও প্রফ এক্সাম দিতে পারবোনা। তা হলে আমারা অনলাইনে ক্লাস পরীক্ষা দিয়ে কি সুফল টা পাবো?আবার এনাটমির মত বিষয়ে যেখানে হাতে কলমে বিভিন্ন অর্গান,লাশ ,হাড়গোড় নিয়ে পড়ালেখা করার কথা অনলাইনে সেগুলো সম্ভব হচ্ছেনা। যার ফলে এই বিষয়গুলো থেকে তারা বেশ পিছিয়ে যাচ্ছে। আরা এই সমস্যার ভুক্তভোগী হচ্ছে প্রথম বর্ষ থেকে শুরু করে শেষ বর্ষের সকল শিক্ষার্থীরা।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার কথা কারোই অজানা নেয়। যেকোনো ধরনের ভালো চিকিৎসার জন্য আমাদের যেতে হয় বাইরের দেশে। সেখানে যদি আমরা অনলাইনে পড়াশোনা করি তাহলে কিভাবে আমরা দক্ষ ডাক্তার হিসেবে গড়ে উঠবো?

আরো এক শিক্ষার্থী বলেন, মেডিক্যালের পড়াশোনার জন্য কংকাল নিয়ে পড়াশোনা করতে হয়। কিন্তু সকলের সামর্থ্য না থাকায় যৌথভাবে কংকাল কেনা হয়। যা এখন রয়েছে হোস্টেলে। করোনা মহামারীর কারনে তারা নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করেছে।যার ফলে অনেকেই এই প্র্যাকটিক্যাল শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ক্লাস নিয়ে তাদের কোনো সমস্যা নেই কিন্তু অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ায় তাদের প্রস্তুতিতে এবং জানাশোনায় অনেক বেশি ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে।

স/রি