রাজশাহীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে একদিনে ৭ জনরে মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীতে করোনার উপসর্গ নিয়ে শনিবার দিবাগত রাত থেকে রবিবারা (২৮জুন) দুপুর পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের সকলের দাফন কাজে সহযোগীতা করছেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন রাজশাহীর স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরা।

মৃতরা হলেন- রাজশাহী মহানগরীর আমবাগান এলাকার সাইদুর রহমান (৪৫), শিরোইল কলোনী বড় মসজিদ এলাকার  সবিজি ব্যবসায়ী সিয়ামুল হক (৬০), ঘোষপাড়া এলাকার মো. খোকন (৪০), লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকার রাবেয়া বেগম (৬৫),  বোয়ালিয়া থানা এলাকার সুভাষ চন্দ্র সাহা (৫০), রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ গ্রামের মকবুল হোসেন (৭৫) এবং রাজশাহীর হযরত শাহমখদুম (র.) মাজারের গেটে থাকা যশোরের অভয়নগরের আশরাফুল ইসলাম (৪৮)।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ও নিজ বাড়িতে দিনের বিভিন্ন সময় তারা তারা মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও বোয়ালিয়া থানা কর্তৃপক্ষসহ কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন রাজশাহী কর্তৃপক্ষ।

মৃতদের মধ্যে সিয়ামুল ২৬ জুন হাসপাতালের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হন আর মারা যান শনিবার রাত্রি সাড়ে ১১টায়। এদিকে সাইদুর ২৭জুন ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হন আর মারাযান শনিবার দিবাগত রাতে। খোকনও ৩৯ ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে মৃত দুজন হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুর পর তাদের কাছে কেউ এগিয়ে আসেনি। রাবেয়া মারা যান রামেক হাসপাতারের আইসিইউ ওয়ার্ডে।

আর তানোনের বৃদ্ধ কবুল হোসেনের দুুই ছেলে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।

এদিকে নগরীর বোয়ালিয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, যশোরের আশরাফুল ইসলাম রাজশাহীর হযরত শাহমখদুম (র.) এর মাজারের সামনে থাকতেন। কয়েকদিন ধরে তার জ¦র ছিল। রোববার সকালে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে রামেকের মর্গে পাঠায়। পরে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনকে দাফনের দায়িত্ব দেয়া হয়।

মৃতদের লাশ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সাথে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে করোনা পরীক্ষার জন্য।

রাজশাহীতে শুরু থেকেই করোনা আক্রান্ত হয়ে বা উপসর্গ নিয়ে কেউ মারা গেলে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরা মৃতদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন বা সৎকারের ব্যবস্থা করে আসছেন।

স/রা