রাজশাহীতে ইভটিজিং বিরোধী ভ্রাম্যমান আদালত: বখাটেদের জন্য বিপাকে সাধারণ ছেলেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে ইভটিজিং বিরোধী অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। আজ শনিবার থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জেলা প্রশাসন থেকে বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠন করে এ অভিযান শুরু করা হয়েছে।

রাজশাহী জেলা প্রশাসকের ফেসবুক আইডিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ইভটিজিং বিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু করা হয়েছে। এটি চলতে থাকবে। সাথে সাথে অনিয়ন্ত্রিত গতিতে মটর সাইকেল চালনা, নিরিবিলি বসে গাঁজা বা মাদক সেবন ইত্যাদি অভিযানও চলবে। যারা ইভটিজিং এর শিকার, তারা ভয় না পেয়ে থানায় বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করুন। আপনি প্রতিবাদ শুরু করলে আরো অনেকে সাহসি হবে।

এদিকে, বখাটে ইভটিজারদের উৎপাত কমাতে জেলা প্রশাসন থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হলে এর সুযোগকে কাজে লাগেচ্ছে স্বার্থনেষী মেয়েরা। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে রাজশাহী নগরীর ফুদকি পড়া এলাকার পদ্মা পাড়ে।

শনিবার বিকেলে নগরীর ফুদকিপাড়া এলাকায় হঠাৎ করেই স্থানীয় একটি ছেলেকে ঘিরে ধরে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের একটি দল এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওই কিশোরীর কাছে জানতে চাইলে মেয়েটি জানায় তাকে অহেতুক কথা বলেছে। পরে তার সত্যতা না মেলায় এবং স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ছেড়ে দেয়া হয় ছেলেটিকে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু যুবক বলেন, রাজশাহীতে ইভটিজিং বিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে এটা খুবই ভালো কথা। এতে আমাদের নগরীতে মেয়েরা সুরক্ষিত থাকবে। তবে এর সুযোগ কাছে লাগিয়ে কিছু  স্বার্থনেষী মেয়েরা সাধারণ ছেলেদের বিপাকে ফেলতে পারে। তাই শুধু কথার ভিত্তিতে বিবেচনা না করে বিষয়টি খুব ভাল ভাবে তদন্ত করে প্রকৃত বখাটে ইভটিজারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

এর আগে গত শুক্রবার উঠতি বয়সী সন্তানদের সামলাতে অভিভাবকদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক।

সন্তানদের খোঁজখবর রাখার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেছেন, সকল অভিভাবককে তাঁদের উঠতি বয়সী সন্তানের খোঁজখবর রাখার অনুরোধ করছি। ইভটিজার হিসেবে আটক হলে জেল জরিমানা হতে পারে। 

Image may contain: one or more people, tree, sky, outdoor and nature

তার এই পোস্টে কমেন্ট করেন আতিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। তিনি লিখেন, ‘স্যার ইভটিজার, বখাটে, ছিনতাইকারী মুক্ত রাজশাহী চাই এবং সে সাথে নজর রাখতে হবে যাতে কোন নিরাপরাদ কোন ছেলে মেয়ে হয়রানির শিকার না হয় ভুল হলে ক্ষমা করবেন স্যার।’

রাশেল নামের আরেকজন লিখেন, স্যার,যাদের কারনে ইফটিজিং হয় মানে যে মেয়েরা অসামাজিক পোশাক ব্যবহার করে তাদের কি কোন শাস্তি হবেনা? যারা ইফটিজিং করে তারা ও যারা ওড়না বাদে ছোট জামা কাপড় পড়ে নিজেকে আবেদনময়ি করে তুলতে চেষ্টা চালাই এই দুই ধরনের মানুষ কেই শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন।

তবে মাহবুব টুঙ্কু নামের আরেকজন লিখেন, শাস্তিতে সমাধান খুঁজলে কোন লাভ হবে না, সমস্যার গোড়ায় হাত দিতে হবে। এ ধরনের অপরাধী একদিনে তৈরী হয় না।

স/অ