রাজশাহীতে ইফতার-তারাবি-সেহেরীতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, চরম ভোগান্তিতে নগরবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে প্রচণ্ড গরমে নাকাল নগরবাসী। তার ওপর রমজানের প্রথম দিন থেকে ইফতার, সেহেরী ও তারাবির নামাজের সময় প্রচণ্ড বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে রাজশাহী নগরবাসীর জীবন একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এদিকে বিদ্যুৎ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের রমজান মাসে ইফতার, তারাবি নামাজ ও সাহরির সময় লোডশেডিং না দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অথচ রাজশাহীতে রমজানের প্রথম দিন থেকেই এমন লোডশেডিং নগরবাসী একেবারে নাভিশ্বাস হয়ে পড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এসব সময়ে বিদ্যুৎ না পেয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ।

তবে উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) দাবি, গত কয়েকদিন ধরে রাজশাহীতে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের ঘাটতি থাকছে। রাজশাহী জেলায় চাহিদার বিপরীতে এখন বিদ্যুতের ঘাটতি প্রায় ৩৬ শতাংশ। আর রাজশাহী বিভাগে এই ঘাটতি পরিমাণ ১৫ শতাংশ। বিদ্যুত ঘাটতি সামাল দিতে নেসকো কর্তৃপক্ষকে এলাকা ভেদে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

মহানগরের উপশহর এক নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা সুজন তাওহীদ বলেন, গত তিন দিন থেকে হঠাৎ করেই লোডশেডিং বেড়েছে। রমজান মাসে এমন অবস্থায় বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। একদিকে লোডশেডিং অন্যদিকে তীব্র গরম। দীর্ঘক্ষণ মসজিদের তারাবির নামাজ আদায় করা মুসল্লিদের এতে বেশ কষ্ট হচ্ছে।

নগরীর সাধুর মোড় এলাকার বাসিন্দা রায়হান হোসেন বলেন, ‘গ্রাহক টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ কিনে চাহিদা মতো বিদ্যুৎ পাবে না সেটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। শহর থেকে গ্রাম সবক্ষেত্রে মানুষ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রত্যাশা করছে। কিন্তু সেহেরী, ইফতার এমনকি তারাবির নামাজের সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। এছাড়াও দিনে রাতে অন্তত ১৫-২০ বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসার মধ্যেই রয়েছে।

জানতে চাইলে নেসকোর বিতরণ অঞ্চল রাজশাহীর প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ বলেন, জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ৯৮ মেগাওয়াট। এই চাহিদার বিপরীতে নেসকো বিদ্যুতের সরবরাহ পাচ্ছে মাত্র ৬৩ মেগাওয়াট। আবার মহানগরীতে বিদ্যুতের চাহিদা রমজানে সবচেয়ে বেশি। তিনি আরও বলেন, রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় মোট ৪৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ মিলেছে ৩৯০ মেগাওয়াট। চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে সরবরাহের তুলনায় বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ায় বাধ্য হয়েই রাজশাহীতে লোড ম্যানেজমেন্ট করতে হচ্ছে বলে জানান ওই শীর্ষ কর্মকর্তা।

জি/আর