* দাম বেড়েছে দ্বিগুণ
* দেখানো হচ্ছে ঘাটতি
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীতে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আর এর চাইতেও বেশি রয়েছে করোনা উপসর্গ নিয়ে নতুন রোগী। এই ধরণের রোগীদের শারীরিক সমস্যার মধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাই অন্যতম, বলছেন চিকিৎসকেরা। এমন অবস্থায় সংশ্লিষ্ট রোগীদের কৃত্রিম ভাবে অক্সিজেন সরবরাহ করে শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখা হয়।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে চাহিদা বেড়েছে অক্সিজেনের (মেডিকেল গ্যাস), আর এই সুযোগে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অক্সিজেন সিলিন্ডার সেটের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দাম দ্বিগুণেরও বেশি চাইছেন বলে অভিযোগ রোগী ও তাদের স্বজনদের। তবে এই সিলিন্ডারজাত অক্সিজেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কর্তৃৃপক্ষের দাবি, রাজশাহীতে এই মুহুর্তে অক্সিজেন মজুদ নেই। যার ফলে তারা সরবরাহ দিতে পারছেন না।
কৃত্রিম ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখতে প্রয়োজন পড়ে অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার, সিলিন্ডরের মাধ্যমে সরবরাহকৃত গ্যাসের গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ফ্লোমিটার ও রোগীর মুখে ব্যবহারের জন্য মাস্ক। আর এই পুরোটাকে বলা হচ্ছে ‘অক্সিজেন সেট’।
রাজশাহীতে এই অক্সিজেন সেটের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে মাত্র দুইটি প্রতিষ্ঠান। কক্সিজেন সেট কিনতে গেলে তারা বলছেন তাদের কাছে সরবরাহ নেই। তবে রোগীর স্বজন সেজে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে বাজার মূল্যের চাইতে বেশি দাম চাওয়া হেচ্ছে।
আরও পড়ুন : পাঁচশ ছাড়ালো রাজশাহীতে করোনা রোগী
রাজশাহীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কানেক্ট ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড এবং স্পেকট্রা অক্সিজেন লিমিটেড এই দুইটি প্রতিষ্ঠান পুরো রাজশাহীর বাজারে অক্সিজেন সেট সরবরাহ করে। এই দুইটি প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হলে তারা জানান, করোনা পরিস্থিতির আগে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসেও বাজারে যে অক্সিজেন সেটের দাম ছিলো ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা, এপ্রিল মাস থেকে সেই অক্সিজেন সেটের বাজার মূল্য ২৩ থেকে ২৬ হাজার টাকা করা হয়েছে। তবে ঘাটতি থাকায় তারা সরবরাহ করতে পারছেন না। তাদের সংগ্রহেও নেই।
কানেক্ট ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড ১ দশমিক ৪ কিউবিক মিটার অক্সিজেনসহ সিলিন্ডার, ফ্লোমিটার ও মাস্কের বর্তমান বাজার মূল্য নির্ধারণ করেছে ২৬ হাজার ৫২২ টাকা। এই বছরের শুরুতে যার মূল্য ছিলো ২০ হাজার টাকার নিচে। তবে প্রতিষ্ঠানটির রাজশাহীর ডেপুটি ইনচার্জের দাবি তাদের কাছে এই মুহুর্তে সরবরাহ নেই।
আর স্পেকট্রা অক্সিজেন লিমিটেড ১ দশমিক ৩৬ কিউবিক মিটারের অক্সিজেনসহ সিলিন্ডার, ফ্লোমিটার ও মাস্কের বর্তমান বাজার মূল্য নির্ধারণ করেছে ২৩ হাজার ৫০০ টাকা। যা এই বছরের শুরুতে ছিলো ১৬ হাজার ৫০০টাকা। প্রতিষ্ঠানটির রাজশাহীর ডেপুটি ইনচার্জের দাবি তাদের কাছেও এই মুহুর্তে সরবরাহ নেই।
তবে কানেক্ট ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড রাজশাহী শাখার ডেপুটি ইনচার্জ তানভির ইসলম ফেরদৌসের সাথে রোগীর স্বজন সেজে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সিলিন্ডারসহ পুরো সেট জোগাড় করে দেয়া যাবে। এর জন্য তিনি ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন।
আর স্পেকট্রা অক্সিজেন লিমিটেড রাজশাহী শাখার ডেপুটি ইনচার্জ মীর আকতারুল ইসলামের সাথে রোগীর স্বজন সেজে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দুই-তিন দিন পর দেয়া যাবে, দাম পড়বে ২৮ হাজার টাকা।
স/রা
