রাঙ্গুনিয়ায় দুই ভাইকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় গরুর দড়ি ও খুঁটি নিয়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আপন দুই ভাই নিহত হয়েছেন। তাদের বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন প্রতিবেশী পিতাসহ তার তিন সন্তান। গতকাল শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড পশ্চিম খুরুশিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ওই এলাকার জহির আহাম্মদের ছেলে জালাল উদ্দিন (২৮) এবং তার ছোট ভাই কামাল হোসেন (২৫)। আহতরা হলেন তাদের প্রতিবেশী মো. ইদ্রিছ (৬৫) এবং তার তিন ছেলে মো. বাদশা (১৮), সালাউদ্দিন (২৬) এবং মো. রানা (১৭)।

এই ঘটনায় ঘাতক পিতা-পুত্রকে ধরে পুলিশে হস্তান্তর করেছেন স্থানীয়রা। তারা হলেন শফিকুল ইসলাম (৬২) এবং তার পুত্র খোরশেদ (২৮)। তবে এই ঘটনায় পলাতক রয়েছে শফিকুল ইসলামের অপর দুই ছেলে মোরশেদ (২৩) এবং সাইফুল ইসলাম (৩৫)।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় দোকানদার নুরুল কবির জানান, শুক্রবার দুপুরের দিকে নিহত জালাল তার গৃহপালিত পশুকে মাঠে বেঁধে দিয়ে আসেন। কিছুক্ষণ পর গিয়ে দেখেন তার গরুর গলার দড়ি খুলে নিয়ে গেছে। খুঁজতে গিয়ে খুঁটিসহ দড়িটি ঘাতক শফিকুল ইসলামের হাতে দেখতে পান।

এই নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে দুই জনের মধ্যে হাতাহাতি হলে শফিকুলের মাথায় আঘাত লেগে ফেটে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে চিকিৎসা দেন।

এর জেরে একই দিন বিকালে শফিকুল ইসলামের তিন পুত্র খোরশেদ, মোরশেদ ও সাইফুল নিহত জালাল উদ্দিনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাকে বাচাতে তার ভাই কামালসহ প্রতিবেশী ইদ্রিছ ও তার তিন সন্তানরা এগিয়ে আসেন।

এ সময় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুই ভাই জালাল ও কামাল। এছাড়া গুরুতর আহত হন প্রতিবেশী ইদ্রিছসহ তার তিন সন্তান। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন এবং ঘাতক শফিকুল ও খোরশেদকে ধরে পুলিশে হস্তান্তর করেন। তবে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান ঘাতক মোরশেদ ও সাইফুল।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. তাহেরাতুল আশরাফী বলেন, তাদের হাসপাতালে আনার পর পরীক্ষা করে দেখা গেছে দুইজন মারা গেছেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদেরও বুকের বাম পাশে জখম রয়েছে। এর মধ্যে ইদ্রিছের অবস্থা আশংকাজনক।

দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি ওবাইদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক পিতা ও পুত্রকে আটক করা হয়েছে। বাকিরা পলাতক রয়েছে। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা নেওয়া হবে। সূত্র: যুগান্তর