রাউধার হত্যা মামলা: পিবিআইয়ের তদন্ত শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘ভোগ’র মডেল রাউধা আতিফের মৃত্যুর ঘটনায় মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। রাজশাহীর আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দিলে তারা আজ শনিবার থেকে কাজ শুরু করেছে। এই নিয়ে পঞ্চম বারের মতো তার মৃত্যুর তদন্ত করা হবে।

এর আগে, গত ১৭ অক্টোবর মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাতে বলা হয়েছিল, রাউধা আত্মহত্যা করেছিলেন। তবে এই প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট হতে পারেনি আদালত। আর এ জন্যই মামলাটির তদন্তে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পিবিআইকে।

এর আগে চারবার তার মৃত্যুর তদন্ত করা হয়েছে এবং চারবারই মৃত্যুর কারণ হিসেবে আত্মহত্যা উল্লেখ করা হয়েছে। সর্বশেষ মামলার তদন্ত করে সিআইডি। এইজন্য দ্বিতীয়বারের মতো ময়নাতদন্তের জন্য তার মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর আলমগীর হোসেন সিল্কসিটি নিউজকে জানান, আদালতের নির্দেশে তারা নতুনভাবে আবার রাউধা আথিফের মৃত্যুর কারণ তদন্ত করে দেখবে। এই কারণে মৃত্যুর কারণ উদঘাটন করতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে, যাতে নতুন কোনো উপাদান পাওয়া যায়।

তিনি আরো জানান, সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদন রাউধার বাবা মোহাম্মদ আথিফ না রাজি দেওয়ায় এবং পিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করার অনুমতি চাওয়ায় আদালত এ নির্দেশ দিয়েছে। রাউধা আথিফের বাবার অনুমতি প্রার্থনায় গত ২৮ নভেম্বর আদালত নতুনভাবে মামলার তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেয়।

উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ দুপুরে রাজশাহী ইসলামি ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষ থেকে রাউধার লাশ উদ্ধারের পর ৩১ মার্চ মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের মাধ্যমে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ওই প্রতিবেদনে রাউধা আত্মহত্যা করেছেন বলে উল্লেখ করে মেডিক্যাল বোর্ড।

পরে গত ১১ এপ্রিল রাউধার মৃত্যুর ঘটনায় রাজশাহীর ইসলামি ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজের পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, রাউধা আত্মহত্যা করেছে বলে তাদের মনে হয়েছে।

রাউধার মৃত্যুর ১২ দিন পর গত ১০ এপ্রিল তার সহপাঠী সিরাতকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন রাউধার বাবা ডা. মোহাম্মদ আথিফ। রাজশাহীর আদালতে দায়ের করা ওই মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন।

সেই অনুযায়ী হত্যা মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। এরপর মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। পরে রাউধার মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা অপমৃত্যুর মামলার তদন্তের ভারও দেওয়া হয় সিআইডিকে। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) থেকে মামলা দুইটি তদন্ত শুরু করে সিআইডি।

স/অ