যে চিকিৎসকের নির্দেশনায় চলছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ডা. এন্থোনী এস ফাওসি। আমেরিকার হোয়াইট হাউজের চিকিৎসা বিষয়ক টাস্কফোর্সের এক অতন্দ্র প্রহরী। ১৯৮৪ সাল থেকেই উপদেষ্টা হিসাবে আছে। প্রেসিডেন্ট রিগ্যান, বুশ, ক্লিনটন, বুশ জুনিয়র, ওবামা, এখন ডোনাল্ড ট্রাম্প সবার কাছেই সমান জনপ্রিয়।

এরকম সর্বদলীয় প্রিয় কিংবা নির্দলীয় একজন চিকিৎসক কি আমাদেই নেই? অবশ্যই আছেন। ডা. ফাওসির মতো বিশেষজ্ঞ ও আমাদের অনেক আছেন। তারা কোথায়? তারা হয়তো কোন এক লাইব্রেরির অন্ধকার কোনে বই নিয়ে পড়ে আছেন। তাদের খবর কেউ রাখে না, রাখবে না। তাদের কথায় কেউ পাত্তা দেয় না। কারণ তারা রাজনীতি করেন না।

আমি বুঝি না, কেনো চিকিৎসকদের মতো পন্ডিত ব্যক্তিবর্গদের পদ পেতে, বা তার যোগ্য স্থানে বসতে তাকে রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। আচ্ছা, আপনারা কোনদিন কোন চিকিৎসককে বলতে শুনেছেন, ‘আপনাকে আমি চিকিৎসা করবোনা, আপন অমুক দলের বা অমুক ধর্মের লোক’?

আজ করোনা থেকে বাঁচতে আমেরিকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যার নির্দেশনা মোতাবেক চলছেন তিনি হলে এই হালকা পাতলা, খর্বাকার কিন্তু অপরিসীম জ্ঞানের ও মেধার অধিকারী ব্যক্তি ডা. এন্থোনী এস ফাওসি।

বোকা ডা. ফাওসির কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টার নেই, অথবা নেই কোন চেম্বার, যেখানে প্রতিদিন তিনি ‘বাদ জোহর হতে পরদিন ফজর পর্যন্ত রোগী দেখেন’।

তার নিউইয়র্কে বা লস এঞ্জেলস এ নেই শতাধিক ফ্ল্যাট, কানাডা বা মালয়েশিয়ায় নেই সেকেন্ড হোম, কিংবা নেই সুইস ব্যাংকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। এমনকি নেই তার কোন রাজনৈতিক পরিচয়। নোবেল পাওয়ার জন্যে তিনি কোন কোটি টাকা দিয়ে দালাল বা লবিস্ট নিয়োগ করেননি। তারপরও সব ক্ষমতাধরদের কাছে তিনি নমস্য! মহাশক্তিদের নিজেদের মধ্যে মারমার, কাটকাট থাকলেও ডা. ফাওসির সামনে সবাই শান্ত সুবোধ।

ডা. ফাওসির কাজ পড়াশোনা আর গবেষণা। তাই গত চল্লিশ বছর বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের ক্ষমতাধর সব প্রেসিডেন্টদের নিকট তিনি আপনজন।

তিনি ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব এলার্জি এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজ (NIAID) এর ডাইরেক্টর এবং ‘হোয়াইট হাউজ করোনা ভাইরাস টাস্ক ফোর্সের’ লিড মেম্বার। ডা. ফাওসির কয়েকটি সাক্ষাৎকার, গবেষণা নেট এ আছে। সবাও দেখবেন, পড়বেন।