যে কারণে ১১ বছরের সম্পর্কে ইতি টানলেন দিয়া মির্জা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

গত ফেব্রুয়ারিতেও দু’জনে একসঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন। দু’সপ্তাহ আগে স্বামীর জন্মদিনে তার একটি ছবি পোস্ট করে দিয়া মির্জা ক্যাপশন দিয়েছিলেন, ‘প্রেশাস ওয়ান’। এর মধ্যে এমন কী ঘটল যে, ১১ বছরের সম্পর্কে ইতি টানলেন দিয়া-সাহিল?

বৃহস্পতিবার সকালে দিয়া এবং সাহিল দু’জনেই ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়ে জানান, তাঁদের এগারো বছরের সম্পর্ক শেষ করছেন। বিবৃতিতে দিয়া লিখেছেন, ‘সম্পর্ক শেষ করলেও আমাদের বন্ধুত্ব থাকবে।’

কিন্তু ঠিক কী কারণে তারা বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলেন, তা স্পষ্ট করেননি।

তবে দিয়া-সাহিলের দাম্পত্য বিচ্ছেদ নিয়ে বলিউডে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন চাউর হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, ‘জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়া’ ছবির চিত্রনাট্যকার কণিকা ধিলোঁর সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্কে জড়িয়েছেন সাহিল। এক মাস আগেই দিয়া সেটি টের পেয়েছেন। তার পর থেকেই দিয়া আর সাহিলের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। সেই থেকে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত।

সাহিলের ‘নতুন প্রেমিকা’ কণিকা ‘জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়া’র পরিচালক প্রকাশ কোভেলামুড়ির সাবেক স্ত্রী। ওই দুজনের বিয়ে বিচ্ছেদ হয় দু’ বছর আগে।

বলিউড ইন্ডাস্ট্রির বরাতে ভারতের গণমাধ্যমের খবর, প্রায় মাস ছয়েক ধরে সাহিল ও কণিকা প্রেম করছেন করছেন। দিয়া প্রথম দিকে সেটি জানতে পারেননি। জানার পরে সেটি মেনে নিতে পারেননি।

‘লাভ ব্রেক আপ জিন্দেগি’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে পরিচালক ও ব্যবসায়ী সাহিল সাঙ্গার সঙ্গে পরিচয় হয় দিয়ার। দিয়া মির্জা ও সাহিল সংঘ বিয়ে করেন ২০১৪ সালের ১৮ অক্টোবর। তারা বিয়ের আগে ও পরে ১১ বছর ধরে একে অপরকে চিনতেন, ভালোবাসতেন। বিয়ের আগে দিয়া আর সাহিল একই ব্যবসার অংশীদার ছিলেন। বিয়ের পাঁচ বছর পর পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে পরস্পর থেকে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বিচ্ছেদের বিষয়ে দিয়া মির্জা লেখেন- ‘১১ বছর ধরে আমরা একসঙ্গে ছিলাম। এখন আমরা নিজেরাই আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তিনি আরও লিখেছেন- ‘আমরা একে অপরের বন্ধু হয়ে থাকব। আর যখন প্রয়োজন হবে, আমরা পরস্পরের পাশে এসে দাঁড়াব। আমাদের পথ আলাদা হলেও আমরা একে অপরকে সবকিছু জানাব।

এতদিন সাহিল ও তার পাশে থাকার জন্য দিয়া তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুল করেননি দিয়া। তিনি লিখেছেন- ‘আমি আমার পরিবার আর বন্ধুদের কাছে কৃতজ্ঞ। কারণ তারা আমাদের ভাবনাকে অনুভব করেছেন। আমাদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। আমরা এ ব্যাপারে আর কোনো মন্তব্য বা কথা বলতে চাই না। ধন্যবাদ।’

বিচ্ছেদ নিয়ে আপাতত আর কোনো কথা বলতে নারাজ দিয়া, ‘আমরা আমাদের পরিবার ও আমাদের বন্ধুদের সমস্ত ভালোবাসা এবং বোঝার জন্য ও মিডিয়া সদস্যদের অব্যাহত সহায়তার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। এ মুহূর্তে আমাদের গোপনীয়তার প্রয়োজনীয়তার জন্য অনুরোধ করছি। আমরা এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করব না।

এই সুদর্শনী ২০০১ সালে ‘রেহেনা হে তেরে দিলমে’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। শুরুর দিকে খুব একটা সাফল্য ধরা দেয়নি তার। বহুদিন পর ‘লাভ ব্রেক আপ জিন্দেগি’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন। এর পরই ছবির পরিচালক সাহিলকে জীবনসঙ্গী হিসেবে খুঁজে নেন গ্লামার কুইন দিয়া।

দিয়া মির্জা ‘সঞ্জু’ ছবিতে অভিনয় করে সাড়া ফেলেন। দিয়া ‘মিস এশিয়া প্যাসিফিক’ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে’ ছবিটি এখনও দর্শকদের মুখে মুখে। এ ছাড়া তার অভিনীত ‘লাগে রহো মুন্নাভাই’ ও ‘তুম কো না ভুল পায়েঙ্গে’ ছবিটিও তাকে খ্যাতি এনে দিয়েছে।