ঠাকুরগাঁওয়ে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮, আহত ২৭

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ঠাকুরগাঁওয়ে যাত্রীবাহী দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৭ জন।

আহতদের ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও রংপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান গণমাধ্যমকে এ দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আজ সকালে বলেছিলেন, শুক্রবার সকাল পৌনে ৮ টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কুমিল্লাহাড়ী বলাকা উদ্যান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ সময় দুই বাসের মধ্যখানে পড়ে যায় একটি মোটরসাইকেল ও একটি যাত্রীবাহী থ্রি হুইলার। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ছয় জন মারা যান।

আহতদের ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান আরও একজন।

এছাড়াও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে আব্দুল মজিদ (৬১) রামের আরও ১ জন মারা যান। তার বাড়ি সদর উপজেলার আকচা গ্রামে।

ইতিমধ্যে হতাহতদের কয়েকজনের পরিচয় জানা গেছে। নিহতের মধ্যে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বেংরোল গ্রামের ২ জন ও সনগাঁও গ্রামের ৩জন এবং ১জন লাহিড়ী গ্রামের।

নিহতরা হলেন, বালিয়াডাঙ্গী শহীদ আকবর আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজের ছাত্র আব্দুর রউফ ও সদর উপজেলার খোচাবাড়ি গ্রামে ক্ষিতিশ চন্দ্র রায় (৪৭), নিশাত নামের বাসের চালক চায়না (৩৫), ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বিপুল চন্দ্র (৩৫), আব্দুল আব্দুর রহমান (৪৫), মোস্তফা (৪৫), তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪০), বীরগঞ্জ উপজেলার গলিরামের মঙ্গলী রানী (৭০), একই এলাকার মনেস্বরের স্ত্রী জবা (৩৫), আব্দুল মজিদ (৬১) ।

আহতদের অনেকের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর ও বালিয়াডাঙ্গী এবং দুজনের বাড়ি দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায়।

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন- আনোয়ার , জিনিয়া, বেলাল, কমলা, আবুল কাশেম, বিশ্বাস রায়, অখিল চন্দ্র রায়, কার্তিক ,সোহেল, ফরিদুল, রেজাউল, জেবুননেছা, সাথি , মিলন, আব্দুল হামিদ, আতিকুর , একতাসহ ২২জন।

এদিকে দুঘর্টনায় পতিত বাস দুটি রাস্তায় পড়ে থাকায় সকাল ১১টা পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কে যোগাযোগ বন্ধ ছিল।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা রাস্তায় থাকা নৈশ্য কোচ ও বাসটি সরিয়ে নিলে যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।

নিহতদের ময়না তদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়েছে।

সদর উপজেলা জগন্নাথপুর ইউপি সদস্য আনিসুর রহমান বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ডিপজল পরিবহন নামের নৈশ্য কোচের চালকের অসর্তকতার জন্য এ ঘটনা ঘটে।

তিনি জানান, নিশাত পরিবহন বাসের মালিক ঠাকুরগাঁওয়ের মিন্টু। তার বাড়ি আশ্রম পাড়া মহল্লায়।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কে. এম কামরুজ্জামান সেলিম, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার আব্দুল আল মামুন, ওসি আশিকুর রহমান ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার কাজের তদারকি করেন।