যেমন ছিল মহানবীর ব্যবহৃত আংটি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

মহানবী (সা.) তাঁর রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সিলমোহর হিসেবে একটি আংটি ব্যবহার করতেন, যা তাঁর পরবর্তী দুই মহান খলিফা ব্যবহার করেছিলেন। আসুন, জেনে নিই ঐতিহাসিক সেই আংটি কিভাবে তৈরি হয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত তা কিভাবে হারিয়ে গিয়েছিল।

১. আংটির গায়ে যা লেখা ছিল : মহানবী (সা.)-এর আংটির গায়ে আরবিতে লেখা আছে ‘মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ’, যার অর্থ মুহাম্মদ আল্লাহর রাসুল। তিনি এই লেখাটিকে সিলমোহর হিসেবে ব্যবহার করতেন।

২. যা দিয়ে তৈরি : মহানবী (সা.)-এর আংটি ছিল রুপার তৈরি। আনাস বিন মালিক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আংটি ছিল রুপার তৈরি এবং তার নাগিনাও ছিল রুপার। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৮৭০)।

আংটিতে অঙ্কিত তিনটি শব্দের মধ্যে সবার ওপরে ‘আল্লাহ’, এর নিচে ‘রাসুল’ এবং তার নিচে ‘মুহাম্মদ’ লেখা ছিল। নিচ থেকে পড়লে হয় মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১৭৪৭)

৩. যখন তৈরি হয় : মদিনায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর নবীজি (সা.) যখন বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধানদের কাছে চিঠি পাঠানোর ইচ্ছা পোষণ করেন, তখন তিনি নিজে আংটি তৈরি করেন। এটিকে তিনি সিলমোহর বা স্বাক্ষরের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতেন। তবে কোনো কোনো ঐতিহাসিক দাবি করেন, সাহাবি আমর ইবনে সায়িদ (রা.) নিজের জন্য আংটিটি তৈরি করেছিলেন এবং নবীজি (সা.) তাঁর কাছ থেকে তা ব্যবহারের জন্য গ্রহণ করেছিলেন। (আল-ইসতিআব ৩/১১৭৮)

৪. মৃত্যুর পরও ব্যবহার : রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মৃত্যুর পর পরবর্তী দুই খলিফা আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ও ওমর (রা.) এই আংটিকেই তাঁদের সিল হিসেবে ব্যবহার করতেন।

৫. যেভাবে হারাল : তৃতীয় খলিফা উসমান (রা.)-এর কাছেও খেলাফতের উত্তরাধিকার হিসেবে নবীজি (সা.)-এর আংটি পৌঁছেছিল। কিন্তু তাঁর হাত থেকে তা মদিনার আরিস নামক কূপে পড়ে যায়।    আংটি খুঁজতে কূপের ভেতর তিন দিন পর্যন্ত অনুসন্ধান করা হয়, এমনকি তা খননও করা হয়। কিন্তু তা আর কখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।

৬. একই নকশা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা : নবীজি (সা.) তাঁর আংটির অনুরূপ নকশার আংটি ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। আনাস বিন মালিক (রা.) বলেন, নবী (সা.) একটি আংটি তৈরি করেন। তারপর তিনি বলেন, আমি একটি আংটি তৈরি করেছি এবং তাতে একটি নকশা করেছি। সুতরাং কেউ যেন নিজের আংটিতে অনুরূপ নকশা না করে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৮৭৪)

মহানবী (সা.) তাঁর রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সিলমোহর হিসেবে একটি আংটি ব্যবহার করতেন, যা তাঁর পরবর্তী দুই মহান খলিফা ব্যবহার করেছিলেন। আসুন, জেনে নিই ঐতিহাসিক সেই আংটি কিভাবে তৈরি হয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত তা কিভাবে হারিয়ে গিয়েছিল।

১. আংটির গায়ে যা লেখা ছিল : মহানবী (সা.)-এর আংটির গায়ে আরবিতে লেখা আছে ‘মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ’, যার অর্থ মুহাম্মদ আল্লাহর রাসুল। তিনি এই লেখাটিকে সিলমোহর হিসেবে ব্যবহার করতেন।

২. যা দিয়ে তৈরি : মহানবী (সা.)-এর আংটি ছিল রুপার তৈরি। আনাস বিন মালিক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আংটি ছিল রুপার তৈরি এবং তার নাগিনাও ছিল রুপার। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৮৭০)। আংটিতে অঙ্কিত তিনটি শব্দের মধ্যে সবার ওপরে ‘আল্লাহ’, এর নিচে ‘রাসুল’ এবং তার নিচে ‘মুহাম্মদ’ লেখা ছিল। নিচ থেকে পড়লে হয় মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১৭৪৭)

৩. যখন তৈরি হয় : মদিনায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর নবীজি (সা.) যখন বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধানদের কাছে চিঠি পাঠানোর ইচ্ছা পোষণ করেন, তখন তিনি নিজে আংটি তৈরি করেন। এটিকে তিনি সিলমোহর বা স্বাক্ষরের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতেন। তবে কোনো কোনো ঐতিহাসিক দাবি করেন, সাহাবি আমর ইবনে সায়িদ (রা.) নিজের জন্য আংটিটি তৈরি করেছিলেন এবং নবীজি (সা.) তাঁর কাছ থেকে তা ব্যবহারের জন্য গ্রহণ করেছিলেন। (আল-ইসতিআব ৩/১১৭৮)

৪. মৃত্যুর পরও ব্যবহার : রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মৃত্যুর পর পরবর্তী দুই খলিফা আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ও ওমর (রা.) এই আংটিকেই তাঁদের সিল হিসেবে ব্যবহার করতেন।

৫. যেভাবে হারাল : তৃতীয় খলিফা উসমান (রা.)-এর কাছেও খেলাফতের উত্তরাধিকার হিসেবে নবীজি (সা.)-এর আংটি পৌঁছেছিল। কিন্তু তাঁর হাত থেকে তা মদিনার আরিস নামক কূপে পড়ে যায়।   আংটি খুঁজতে কূপের ভেতর তিন দিন পর্যন্ত অনুসন্ধান করা হয়, এমনকি তা খননও করা হয়। কিন্তু তা আর কখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।

৬. একই নকশা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা : নবীজি (সা.) তাঁর আংটির অনুরূপ নকশার আংটি ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। আনাস বিন মালিক (রা.) বলেন, নবী (সা.) একটি আংটি তৈরি করেন। তারপর তিনি বলেন, আমি একটি আংটি তৈরি করেছি এবং তাতে একটি নকশা করেছি। সুতরাং কেউ যেন নিজের আংটিতে অনুরূপ নকশা না করে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৮৭৪)

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ