‘যুবরাজকে আর খেলতে দেওয়া হবে না’ -বিসিসিআইয়ের কঠোর ঘোষণা!

গত বছর সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী তারকা যুবরাজ সিং। সম্প্রতি তিনি অবসর ভেঙে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরতে চেয়েছিলেন। তবে তার এই প্রত্যাবর্তনে বড়সড় বাধা হয়ে দাঁড়াল বিসিসিআই। যুবরাজকে সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, তাকে কোনোভাবেই আসন্ন সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে খেলতে দেওয়া হবে না। এর পেছনে রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অদ্ভুত এক আইন।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, অবসরের পর কোনো ক্রিকেটার যদি বিদেশি লিগে অংশ নেন, তাহলে অবসরের সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেললে আর ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে পারবেন না। প্রসঙ্গত, যুবরাজ অবসরের পরেই দুবাইয়ে টি-টেন ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। এরপর কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতেও খেলেছিলেন তিনি। ঠিক একই কারণে দুবাইয়ের লিগ খেলে আসার পর গত আইপিএলে কলকাতার হয়ে খেলতে পারেননি বর্ষীয়ান স্পিনার প্রবীণ তাম্বে।

এই আইনের অন্য দিকটার উদাহরণও আছে। ২০১৯ সালে ক্রিকেট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন আম্বাতি রাইডু। তিনি যেহেতু বিদেশি লিগে খেলেননি, সেই কারণে অবসরের সিদ্ধান্ত পাল্টে পুনরায় ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন। এবং এই কারণে তার বোর্ডের অনুমতির প্রয়োজন হয়নি। অনেকেই ভেবেছিলেন, যুবরাজের মতো হাই প্রোফাইল ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে বিসিসিআই নমনীয় হবে। কিন্তু বিসিসিআই তার ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরাটাই আটকে দিল!

কয়েকদিন আগেই যুবরাজকে স্কোয়াডে রেখে সৈয়দ মুস্তাক আলির দল ঘোষণা করেছিল পাঞ্জাব ক্রিকেট সংস্থা। এই টুর্নামেন্টে খেলার জন্যই বোর্ডের কাছে অনুমতি চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন যুবরাজ। তবে বোর্ডের পক্ষে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, যুবরাজ ওই টুর্নামেন্টে কোনোভাবেই অংশ নিতে পারবেন না। যুবরাজের অনুপস্থিতিতে আপাতত দলের নেতৃত্ব দেবেন মনদীপ সিং। জাতীয় দলের হয়ে অংশ নেওয়া গুরকিরত সিং মান হচ্ছেন সহ অধিনায়ক।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ