যুক্তরাষ্ট্রে আটজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরের প্রক্রিয়া স্থগিত

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

মৃত্যুদণ্ড বাতিলের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন ও আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন অঙ্গরাজ্য ওহাইওর গভর্নর জন কাশিচ আটজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরের প্রক্রিয়া সাময়িক স্থগিত করেছেন।

 

এর আগে এক বিচারক অসুধ দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়াকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে ঘোষণা করেন। তবে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে ওহাইও কর্তৃপক্ষ।

 

আগামী সপ্তাহেই এক বন্দির মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকরের কথা ছিল। রোনাল্ড ফিলিপস নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তার বান্ধবীর তিন বছরের কন্যা শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ রয়েছে। এখন তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ ১৫ ফেব্রুয়ারির বদলে ১০ মে কার্যকর করা হবে।

 

আইনি লড়াইয়ের প্রশ্নে গভর্নর জন কাশিচ বলেন, তিনি আপিল বিভাগে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘দণ্ডাদেশ কার্যকরে দেরি হচ্ছে। তবে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার জন্য তা জরুরি।’ এই সময়ের মধ্যে আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল করবেন বলেও কাশিচ আশা করছেন।

 

সিনসিনাতিভিত্তিক আপিল আদালতে ২১ ফেব্রুয়ারি মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

 

উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ মৃত্যুদণ্ড বাতিল করলেও যুক্তরাষ্ট্রের ৩১টি অঙ্গরাজ্যে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। তিনটি অসুধ দিয়ে হৃদযন্ত্রসহ পুরো শরীরের কর্মক্ষমতা বন্ধ করে দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ১৯৯৯ সালে ৯৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে ২০১৬ সালে এই সংখ্যা কমে আসে মাত্র ২০ জনে।

 

১৯৭৬ সাল থেকে টেক্সাসে সর্বোচ্চ ৫৪০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ১১২টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের মধ্য দিয়ে এর পরের স্থানেই রয়েছে ওকলাহোমা ও ভার্জিনিয়া।

 

২০১৬ সালের জুলাইয়ে ২ হাজার ৯৫ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। ক্যালিফোর্নিয়ায় ৭৪১ জন মৃত্যুদণ্ডের আসামি থাকলেও ১৯৭৬ সাল থেকে মাত্র ১৩ জনের রায় কার্যকর করা হয়।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন