যমুনা তীরের ৩০০ মিটার নদীগর্ভে

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :
এর আগে গত বুধবার (৯ আগস্ট) থেকে ভাঙন শুরু হয়। তবে ইতোমধ্যে নদীর তীর রক্ষায় প্রতিরোধ ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সারিয়াকান্দির কামালপুরের ইছামারা এলাকায় প্রায় দুই বছর আগে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছিল। গত প্রায় দুই সপ্তাহ আগে সেখানে যমুনা নদীর ধস দেখা দেয়। ধসে কমপক্ষে ৫০ মিটার নদীতে বিলীন হয়। পরে গত বুধবার প্রায় ২৫০ মিটার ডান তীর ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ধসের কারণে বাঁধের পাশের ইছামারা, গোদাখালি, পাইকরতলী, দড়িপাড়া এলাকার লোকজনের মধ্য আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে বগুড়া পাউবোর লোকজন জরুরি প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে সেখানে জিওব্যাগ ফেলা শুরু করেন।

এ বিষয়ে কামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রাছেদুউজ্জামান রাছেল জানান, নদী রক্ষায় ডাম্পিং (ফেলা) করা জিওব্যাগগুলো বিভিন্ন সময়ে লোকজন কেটে ফেলার কারণে ওই এলাকার প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। এবার ভাঙনে প্রায় তিন বিঘা জমি নদীগর্ভে গেছে।

পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে বলেন, কামালপুরের বেড়িবাঁধের প্রায় ৫০০ মিটার পূর্ব দিকে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত ৯ আগস্টের ভাঙনে প্রায় ২৫০ মিটার নদীগর্ভে গেছে। তবে ওই এলাকায় কোনো বসতবাড়ি ছিল না।

তিনি বলেন, ওই এলাকায় নদী ভাঙন রক্ষায় স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে ভাঙনের খবর পেয়েই আমরা জিওব্যাগ ফেলা শুরু করেছি। এতে ভাঙন প্রবণতা কমে গেছে। এ ছাড়াও স্থায়ীভাবে ভাঙন প্রতিরোধের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।