মেহেরপুরে আ’লীগ-যুবলীগের সংঘর্ষ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

মুজিবনগরে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় এমপি ফরহাদ হোসেনের সমর্থকরা ঢাক-ঢোল বাজিয়ে আনন্দ মিছিল করে। যুবলীগ নেতাকর্মীরা শোকের মাসে এ আনন্দ মিছিলের প্রতিবাদ করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এমপির সমর্থকরা যুবলীগের নেতাকর্মীদের পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসী।

আহতদের মধ্যে মহাজনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক মিঠুর অবস্থা আশংকাজনক। তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহত অন্যরা হলেন- যুবলীগ কর্মী শাহীন রেজা, মনিরুল ইসলাম, জসিম উদ্দীন, আনোয়ারুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগ কর্মী ফিদু শেখসহ আরও কয়েকজন। ঘটনার পর গ্রামে পুলিশ মোতায়েন আছে।

মেহেরপুর সদর থানা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সাজিজুর রহমান সাজু জানান, বৃহস্পতিবার পুলিশ পাহারায় মহাজনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে এমপি ফরহাদ হোসেনের পক্ষের প্যানেল থেকে ২ জন ও ইউনিয়ন যুবলীগ প্যানেল থেকে ৩ জন নির্বাচিত হন। ৩ জন শিক্ষক প্রতিনিধির ভোটে কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন এমপি ফরহাদ হোসেন।

যুবলীগ নেতা সাজিজুর রহমান সাজু জানান, শোকের মাসে এমপির নির্দেশে তার সমর্থকরা রাতে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে গ্রামে উৎসব মিছিল বের করে। এর প্রতিবাদ করায় যুবলীগের কর্মী-সমর্থকদের ধরে এনে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারপিট করে গ্রামের স্কুলমাঠে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।

মুজিবনগর থানার ওসি আবুল হাসেম জানান, এমপির লোকজন ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বর্তমানে গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা আছে।

জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান জানান, শোকের মাসে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে উৎসব মিছিল করার আপত্তি জানালে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এমপি ফরহাদ হোসেন যুগান্তরকে জানান, তার সমর্থকরা বাদ্যযন্ত্র নিয়ে উৎসব মিছিল করায় তিনিও মর্মাহত। এতে তার কোনো নির্দেশ ছিল না।