মেহেদীর রঙ না শুকাতে স্বামীর আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক: পালিয়ে বিয়ে। মাত্র তিন দিন আগে। মেহেদীর রঙ এখনো শুকায়নী। দু’জন এক সঙ্গে বিষপান করে, স্বামী মৃত্যু । স্ত্রী প্রাণে বেঁচে গেলেও স্বামীর আর শেষ রক্ষা হলো না। স্বামী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ রামেক হাসপাতালে মর্গে। আর স্ত্রী মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করছে রামেকের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দায়।

নিহত স্বামী ডলার চারঘাটের পান্নাপাড়া এলাকার রেজাউল হোসেনের ছেলে ও স্ত্রী রুনা পাশের গ্রামের মাঠ পান্নাপাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের মেয়ে।

জানা গেছে, ডলার আর রুনার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্রে তারা বিয়ে করে। কিন্তু রুনার আগে ডলার অন্য বিয়ে করা বৌ ছিলো। ডলার রুনাকে এ কথা গোপন করে তিন আগে তাদের বিয়ে হয়। তারা ডলারের খালা বাড়িতে ছিল। সোমবার সকলে তারা দু’জনে এক সঙ্গে বিষ পান করেন। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে ও পরে রামেকে ভর্তি করা হলে স্বামী ডলারের মৃত্যু হয়।

রুনার মা নাজমা বেগম সিল্কিসিটি নিউজকে জানায়, লেখাপাড়ার সুবাদে রুনা নাটোরে থাকতেন।  রুনা নাটোরের এনএস কলেজ লেখা পড়া করে।

গত শুক্রবার রাতে রুনা তার মা নাজমা বেগমের সাথে ফোনে কথা বলে। রুনা বলে তোমরা কোমন আছ। আমি ভালো আছি। মা তোমার সাথে আমার কথা আছে। আমি কয়েকদিন পরে বলবো। এ বলে রুনা ফোন বন্ধ। অনেক চেষ্টা করে তাকে আর ফোনে পাওয়া যায় নি।

শনিবার বিকেলে ছেলের এলাকার এক লোক ফোন দিয়ে বলে আপনার মেয়ে রুনা ডলার নামের এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। তার পরে আমি রুনাকে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পায়।

আজ সকালে পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স থেকে ডাক্তার ফোন দিয়ে বলেন এই নম্বর আপনার মেয়ের কাছে পেয়েছি। আপনার মেয়ে আর ডলার নামেরে এক ছেলে বিষ খেয়েছে। তারা এখনে আছে। আপনার তাড়াতাড়ি আসেন। শুনে আমরা সেখানে গিয়ে দেখি তারা নাই । পরে রামেকে এসে শুনি ছেলেটা মারা গেছে।

রামেক হাসপাতার সূত্রে জানা গেছে, তারা স্বামী-স্ত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। তাদের  রামেক হাসপাতালে নেয়ার পর জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বামী ডলারকে মৃত ঘোষণা করেন। আর রুনা কে রামেকে ভর্তি করা হয়।

 

স/আ