মেসির হ্যাটট্রিকে হাইতিকে উড়িয়ে দিল আর্জেন্টিনা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ফিফার র‌্যাংকিং অনুসারে হোক আর শক্তিমত্তার বিচারে হোক, আর্জেন্টিনা ও হাইতির অবস্থান বলতে গেলে বিপরীত মেরুতে। কিন্তু মার্চে স্পেনের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে বিপর্যস্ত হওয়ার ঘা ঢাকতে এই ম্যাচটিই যে ‘সুযোগ’ ছিল লাতিন জায়ান্টদের কাছে।

সেই ‘সুযোগ’ ভালোভাবেই কাজে লাগালো জর্জ সাম্পাওলির দল। অধিনায়ক লিওনেল মেসির দুরন্ত হ্যাটট্রিকে হাইতির বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছে সাদা-নীল জার্সিধারীরা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৯ মে) রাতে (বাংলাদেশ সময় বুধবার, ৩০ মে, ভোরে) বুয়েন্স এইরেসের লা বোম্বেনেরো স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচে ক্যারিবিয়ান সাগরের অতিথিদের ৪-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা।মেসির হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি গোলের দেখা পেয়েছেন সার্জিও আগুয়েরোও, এই গোলেও শেষ ছোঁয়াটুকু (অ্যাসিস্ট) ছিল মেসির।

রাশিয়া বিশ্বকাপের প্লেন ধরার আগে এমন জয় আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে খাদের কিনারে থেকে চূড়ান্ত পর্বে ওঠার পর স্পেনের বিপক্ষে ৬-‌১ গোলে ধরাশায়ী হওয়া সাম্পাওলির শিষ্যদের।

স্বভাবতই পুরো ম্যাচে বল পাস থেকে শুরু করে আক্রমণ, অন টার্গেট শট- সার্বিক বিচারে আধিপত্য দেখিয়ে খেলেছেন মেসিরা। ফলও শেষ পর্যন্ত তাদের পক্ষেই গেছে।

মেসি প্রথম গোলটি করেন ম্যাচের ১৭তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে। আর তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় গোলটি আসে দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮ ও ৬৬তম মিনিটে। মেসির বাড়িয়ে দেওয়া ক্রস থেকে ৬৯ মিনিটে হাইতিয়ানদের জালে শেষবার বল জড়ান আগুয়েরো।

হ্যাটট্রিকের সুবাদে আর্জেন্টাইনদের হয়ে ১২৪ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৬৪ গোলের রেকর্ড গড়লেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর-জয়ী।

আর্জেন্টিনা সহজ জয় পেলেও এই ম্যাচটি সাম্পাওলির বিশ্বকাপ দল সাজানোর ক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশ্বকাপের গত আসরের ফাইনালিস্টরা হাইতির বিপক্ষে ম্যাচের পর ইউরোপে যাবে। সেখানে বার্সেলোনায় আট দিনব্যাপী অনুশীলনে ঝালিয়ে নেবে নিজেদের। এরপর ৯ জুন বিবাদমান পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলের বিপক্ষে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা মেসিদের।

১৬ জুন আইসল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপের লড়াই শুরু হবে ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইনদের।