রাজশাহীতে মামলা তুলে না নেয়ায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পূর্বশত্রুতার জেরে রাজশাহীতে যুবলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিস্তলের বাট দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখমের অভিযোগ উঠেছে। হত্যা চেষ্টা ও ছিনতাই মামলা তুলে না নেওয়ায় শনিবার তাকে নগরীর ভদ্রা এলাকা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে জখম করে।

রোববার দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান ভুক্তোভোগী যুবলীগ নেতা জামিল আখতার রবিন। তিনি রাজশাহী নগরীর ২৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

লিখিত বক্তব্যে যুবলীগ নেতা জামিল আখতার রবিন জানান, শনিবার রাত ৮টার দিনে আমি কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরছিলাম। এসময় নগরীর ভদ্রা মোড়ের অতিথি হোটেলের সামনে আসলে তরিকুল ইসলাম তরিক ও সনেটসহ ৭/৮ জন অস্ত্রের মুখে আমাকে তুলে নিয়ে বালিয়াপুকুর এলাকার একটি নির্জন জায়গাতে নিয়ে যায়। পরে সেখানে ২০১২ সালে দায়ের করা হত্যা চেষ্টা মামলা তুলে নিতে আমাকে চাপ দেয়। কিন্তু এ বিষয়ে প্রক্রিয়া ও সময় লাগবে বলে জানালে তারা আমাকে পিস্তলের বাট দিয়ে আঘাত করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এছাড়া কিলঘুশিসহ প্রচন্ড মারধর করে। এতে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হলে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে একটি ওষুধের দোকনে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আমার পরিবারের লোকজন আমাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতলে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আমার মাথায় ছয়টি সেলাই দেয়। এই ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। যদিও তারা আবারও হুমকি দিচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, মাদকাসক্ত ওই হামলাকারীদের হামলায় ২০১২ সালে আমার কিডনি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এতে ডায়ালাইসিস করা হয়। এই ঘটনায় মামলা হলে তা তুলে নিতে ইতোপূর্বেও আমার উপর বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে তারা। সর্বশেষ শনিবার আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। চিহ্নিত এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০ এর অধিক মামলা রয়েছে।

ভুক্তোভোগী রবিনের মা আছিয়া খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করার কারণে আমার ছেলের উপর বারবার হামলা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি রাজশাহীর নগর পিতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও প্রশাসনের কাছে আমার ছেলের জীবনের নিরাপত্তা কামনা করছি।

স/আর