নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ:
নওগাঁর মান্দার গনেশপুরে রাস্তা পাকাকরণের দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার দুপুর ২টায় উপজেলার গণেশপুর ইউনিয়নের গণেশপুর উত্তরপাড়া গ্রামের ঈদগাহ তলী মোড়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। মানববন্ধনে নেতৃত্বদেন গণেশপুর গ্রামের মকবুল হোসেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন, গণেশপুর গ্রামের লাভলু, আনোয়ার, আব্দুল কাদের, বয়েজ উদ্দিন, বাবলু হোসেন, গোপাল কৃষ্ণপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান, নাদের আলী, আব্দুর রশিদ, কচুকুড়ি গ্রামের মমতাজ, আব্দুল জব্বার। মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহন করেন, সাংবাদিক, সার্ভেয়ার মাহবুবুজ্জামান সেতু, হাফেজ আলামিন হোসেন, সোহেল, সাইদুর, আঃ সামাদ, আলম, আঃ জলিল, মতিউর, বাবু, সোহেল, ইমরান, আঃ রহমান, মকলেছ, মাবুদ বক্স ভুট্টু, সাজ্জাদ, ফারুক, সোহেল, লোকমান, আল মামুন প্রমূখ।
জানাগেছে, মান্দা উপজেলার গণেশপুর ইউনিয়নের সতিহাটের উত্তরে সরকারের ব্রয়লার থেকে ঈদগাহ তলী মোড় হয়ে জেলার পার্শ্ববর্তী উপজেলা মহাদেবপুরের সফাপুর ইউনিয়নের গোপালকৃষ্ণপুর, কচুকুড়ি এবং পবাতৈর গ্রামের ইন্টিতলার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়েছে। সতিহাটের উত্তরে সরকারের ব্রয়লার থেকে ঈদগাহ তলী মোড় পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে। এ রাস্তা দিয়ে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও হাট বাজারে প্রতিদিন প্রায় ৩০টি গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ চলাচল করে। রাস্তায় কোন গাড়ি না পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পায়ে হেটে স্কুল, কলেজে যেতে হয়।
বর্ষা মৌসুমে কাঁদা ও খড়ার সময় রাস্তায় প্রচন্ড ধুলাবালি হয়। ফলে জনসাধারনদের চলাচলে দূর্ভোগে পড়তে হয়। বর্ষার সময় রাস্তায় কাঁদা থাকায় কোন অসুস্থ রোগীকে ঠিক সময়ে হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয়না। কৃষি প্রধান এলাকা হওয়ায় স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত কৃষি পণ্য ধান, সবজি, হলুদ, কাঁচা মরিচ ও কলা সঠিক সময়ে বাজার জাত করা সম্ভব হয়না। ফলে কৃষকরা ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। অনেক সময় ভ্যান উল্টে কাঁদার মধ্যে পড়ে কৃষিপন্য নষ্ট হয়ে যায়। অত্র এলাকার মধ্যে সতিহাটটি উল্লেখ্যযোগ্য হওয়ায় এ রাস্তা দিয়ে জনসাধারনের চলাচলও বেশি হয়।
এছাড়া গণেশপুর গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আলীম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশ্বনাথ মন্ডল, কচুকুড়ি গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি আবুল কাশেম মন্ডলসহ একাধিক মুক্তিযোদ্ধার বসবাস।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের পর থেকে এলাকাগুলো উন্নয়নের ছোয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। এ তিন কিলোমিটার রাস্তা পাকা হলে এলাকার আর্থসামাজিক ভাবে উন্নয়ন হবে। অন্যদিকে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। রাস্তাটি অতি দ্রুত পাকাকরণ করার জন্য মাননীয় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
স/অ