শনিবার , ৭ অক্টোবর ২০১৭ | ১৩ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

মান্দার সেই বিতর্কীত ইউএনও’র বদলির আদেশ

Paris
অক্টোবর ৭, ২০১৭ ১:৩৯ অপরাহ্ণ

কাজী কামাল হোসেন, নওগা:
নওগাঁর মান্দা উপজেলার সেই বিতর্কীত ইউএনও মো: নুরুজ্জামানকে পদোন্নতি দিয়ে দিনাজপুর জেলায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে বদলীর আদেশ হয়েছে। গত ২৪/০৯/১৭ ইং তারিখে সিনিয়র সহকারী সচিব দেওয়ান মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ বিষয়টি জানা যায়। বদলির আদেশ হলেও নির্ধারিত তারিখের মধ্যে তিনি কর্মস্থল ত্যাগ না করে বহাল তবিয়তে পুরাতন কর্মস্থলে নিয়মতি অফিস করছেন তিনি।

প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, গত ০২/১০/১৭ ইং তারিখের মধ্যে কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হওয়ার সময় ছিল। অন্যথায় ০২/১০/১৭ ইং তারিখের অপরাহ্নে তাৎক্ষনিক ভাবে অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজড) বলে গণ্য হবেন।

এ বিষয়ে নির্বাহী অফিসার মো: নুরুজ্জামান কোন মন্তব্য করতে চাননা। তিনি অফিসে গিয়ে দেখা করতে বলেন।

নওগাঁ জেলা প্রশাসক ড. মো: আমিনুর রহমান বদলির আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বদলি হলে রিলিজ করতে হয়। প্রশাসনিক কারণে তিনি যদি কয়েকদিন থাকতে চান সেক্ষেত্রে কোন অসুবিধা নেই। অনেক সময় বদলি হলেও থাকতে পারেন।

উল্লেখ, গত ১জানুয়ারী ২০১৭ মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে যোগদান করেন মো: নুরুজ্জামান। এরপর নিয়মিত উপজেলা পরিষদে এসে অফিসিয়াল কার্যক্রম না করে উপজেলার বাসভবনে বসে দাপ্তরিক কাজ করা, রাস্তাঘাটে চলাচলের সময় গাড়িতে লাঠি শোঠা ও হাতুড়ি এবং কারণে-অকারণে বিভিন্ন মানুষকে পেটানোর অভিযোগ রয়েছে।

সম্প্রতি গত ০৩ অক্টোবর উপজেলার কুশুম্বা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক আতাউল গণিকে কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে কিল ঘুষি মারে এবং অশ্লিল কথাবার্তা বলার অভিযোগ আছে ইউএনও’র বিরুদ্ধে। এসময় অফিস সহায়ক আমিনুল ও আলমগীর, সার্ভেয়ার এমদাদুল হক এবং মান্দা সহকারী কমিশনার(ভূমি) উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে গত ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ ৪র্থ শ্রেনী সরকারি কর্মচারী সমিতি মান্দা উপজেলা শাখা সভাপতি বরাবর আতাউল গণি সুচিবারের আশায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

আতাউল গণি বলেন, ওইদিন বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা অফিসের সার্ভেয়ার এমদাদুল হক, সহকারী কমিশনার(ভূমি)এর বরাত দিয়ে আমাকে নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ডেকে নেয়া হয়। এসময় স্যার আমাকে তার অফিসে ডিউটি করতে বলেন। আমি ডিউটি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আমায় কিল ঘুষি মারেন এবং মুখে অশ্লিল কথাবার্তা বলেন। এছাড়া ‘তোরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়েছিস তো কি হয়েছে? তোদেরকে কে চাকুরী দিয়েছে? তোরা চাকুরী পাওয়ার অযোগ্য। গোটাদেশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কারনে শেষ হয়ে গেলো। এই কোটা পদ্ধতি বাতিল করা উচিত’ বলে আমার উপর চড়াও হন তিনি।

 

স/আ

 

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর