মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত: মোহনপুর থানার এস আই ক্লোজ

মোহনপুর প্রতিনিধিঃ

মোহনপুর থানার এস আই ওসমান গণির বিরুদ্ধে মাদক কেনাবেচা অভিযোগ উঠেছে। পবা এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী ও পুলিশের সোর্স হেলালের সাথে জড়িত থাকায় অভিযোগে পুলিশ লাইনে তাকে ক্লোজ করা হয়েছে।

র‌্যাব-৫ রাজশাহী উপ অধিনায়ক মেজর এ এম আশরাফুল ইসলাম গত ১০ এপ্র্রিল মঙ্গলবার সকাল ৭ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পবা থানার পুলিশের সোর্স আব্দুস সালেক ওরফে হেলালকে বিপুল পরিমান মাদক দ্রব্যেসহ আটক করেন। আটককৃত হেলালকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল।

সে জানান, এস আই ওসমান গণি এক সময় পবা থানায় চাকুরীর করত সে সুবাদে তখন থেকে তার সাথে পরিচয় হয়। আটককৃত মাদকদ্রব্যে সে এস আই ওসমান গণির নিকট থেকে নিয়েছে বলেও সে জানান।

জানা গছে মোহনপুর থানা এস আই বিরুদ্ধে গ্রেফতার বাণিজ্য, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার দাপট ও মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এস আই ওসমান গণি মোহনপুর থানায় বদলি হয়ে আসার পর থেকেই রক্ষক হিসাবে অবর্তীণ না হয়ে ভক্ষকের ভূমিকায় অবর্তীণ হয়েছেন। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে থানার সর্বত্র অপরাধী ও মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে গড়ে তোলে গোপন সখ্যতা। এস আই ওসমান গণির এলাকার ব্যক্তিগত সোর্স শাহিন সাগরকে সাথে নিয়ে বসন্তপুর, ধূরইল, পিয়ারপুর, কাশিমালা, মোহনপুর, পবা,তানোর সীমান্ত এলাকা বিভিন্ন সময় মাদকসহ গ্রেফতার করে চাহিদামত টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে মোটা অষ্কের টাকা না দিলে ছাড় পাওয়া যায় বলে জানাগেছে। মাদক উদ্ধার অভিযানে নামে এই পুলিশ নীরব চাঁদাবাজি লিপ্ত ছিলেন।

অন্যদিকে গ্রেফতার পর ঘটনাস্থলে থেকে ছেড়ে দেয়া ও ৩৮ ধারা সহ একাধিক পন্থায় প্রস্থাব দেয়া হয় আর এর জন্য আদায় করা হয় মোটা অষ্কের টাকা।

মোহনপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ(ওসি) এম এম আবুল কাশেম সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সত্যাতা স্কীকার করে বলেন, তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে এবং তার সাথে যারা জড়িত আছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।

রাজশাহী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তদন্তে প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স/অ