মহিষের মাংস বিক্রি হবে ৪৫০ টাকা কেজি

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক

দেশে আলু, ডিম, মুরগি ও মাংসের মূল্য বেড়েই চলেছে। ফলে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে খাবারের তালিকা ছোট হয়ে আসছে কম আয়ের মানুষের। এমন পরিস্থিতিতে ডিম ও আলু আমদানির অনুমতি দেওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে পণ্য দুটির। এদিকে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) অনুরোধে বাণিজ্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৭৫ হাজার টন মহিষের মাংস আমদানিরও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনুমোদনের অপেক্ষায়।

মূল্যস্ফীতিতে সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনায় ডিম, আলু ও মাংসের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সম্প্রতি চিঠি দিয়েছে আইবিসিসিআই। চিঠিতে বলা হয়েছেÑ ইতোমধ্যে ডিমের কয়েকটি চালান দেশে আসায় ডিমের মূল্য ১৫ টাকা থেকে কমে ১১-১২ টাকায় এবং আমদানি ও নতুন আলু বাজারে আসায় পণ্যটির দাম

৭০ টাকা থেকে কমে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় নেমেছে। যদি আমদানির মাংসও দেশে আসে, তা হলে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকার পরিবর্তে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় পাওয়া যাবে। ইতোমধ্যে আইবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি দল ভারতের কয়েকটি কসাইখানা পরিদর্শনসহ দেশটির রপ্তানিকারকদের সঙ্গে আলোচনাও করেছে। সরকারের চূড়ান্ত অনুমতি পেলে মাংস মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্তদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে।

সূত্র জানিয়েছে, ভারতও বাংলাদেশে মহিষের মাংস রপ্তানি করতে চায়। বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, তারা দেশের খামারিদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। এ-সংক্রান্ত একটি নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে।

বাংলাদেশে মহিষের মাংস রপ্তানির অনুমতির অনুরোধ জানিয়ে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনও গত বছরের ৭ জুলাই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্চমানের ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে প্রক্রিয়াজাত করা মাংসের বৃহত্তম রপ্তানিকারক। সেটি বাংলাদেশে অপ্রতিযোগিতামূলক। মহিষের মাংস রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্ক কমানোরও অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।