ভোলাহাটে গৃহবধূকে ১০১ দোররা অভিযুক্ত ইউপি সদস্য গ্রেফতার

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:
ভোলাহাটে কথিত বিচারের নামে এক গৃহবধূকে শারিরীক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শুধু শারিরীক নির্যাতনেই ক্ষ্যান্ত হয়নি কথিত বিচারকরা। তারা ওই গৃহবধূকে আর্থিক জরিমানাও করেছে। আর সে জরিমানার টাকা ভাগবটোয়ারা করে নিয়েছে কথিত বিচারকরা। এনিয়ে থানায় সাতজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জামবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়ইগাছী ভাটাপাড়া গ্রামে।

 
জানাগেছে, ১১ মার্চ রাতে জামবাড়ীয়া ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের মোতাহার হোসেনের ছেলে ফারুক একই ইউনিয়নের বড়ইগাছী ভাটাপাড়া গ্রামের বাহার আলীর স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধভাবে মেলা-মেশায় লিপ্ত হয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে উভয়কে আটকে রাখে স্থানীয়রা।

 
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ইব্রাহীম, ৭নং আবদুস সামাদ, ৯ নং ওয়াডের্র সিহাব ও ৮নং ওয়ার্ড সদস্য জিন্নাত। ঘটনাস্থলে তারা তাৎক্ষনিক ওই গৃহবধূকে ব্যাপক মারধর করে ধর্ষক ফারুক এর পরিবারের কাছে ইউপি সদস্যরা যোগসাজস করে বিশ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে তার পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দেয়। পরদিন ১২ মার্চ সকালে ওই গৃহবধূর বাড়ির সামনে কথিত আদালত বসানো হয়। তাতে  ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবদুস সালামকে প্রধান বিচারক রেখে বিচার করা হয়। বিচারে গ্রাম পুলিশ মোস্তফা কে গৃহবধূকে ১০১ র্দোরা মারা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

 
বিচারকদের সিদ্ধান্ত মেনে গৃহবধূ কে মারা হয় র্দোরা। ব্যাপক র্দোরা মারায় গৃহবধূ ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তারপরও কথিত বিচারকদের বিচার থেমে থাকেনি। কথিত রায়ে গৃহবধূকে ও ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ফারুক কে মারা হয় ১০১ দোররা। এর সঙ্গে গৃহবধূকে অর্থদণ্ড করা হয় ৬ হাজার এবং অভিযুক্ত ধর্ষককে অর্থদ- করা হয় ২২ হাজার টাকা।

 
অভিযোগ উঠেছে ঘুষ, অর্থদ-’র মোট ৪৮ হাজার টাকার সবগুলোই ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন কথিত বিচারকরা। এদিকে গুরুত্বর আহত গৃহবধূকে চিকিৎসার জন্য ভোলাহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে ।

 
এ ঘটনায় কথিত প্রধান বিচারকসহ অন্যান্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নির্যাতনকারি ইউপি সদস্যরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং গৃহবধূকে পতিতা বলে আখ্যায়িত করেন।

 
নির্যাতিতা গৃহবধূ জানান, তিনি ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চেয়ে ঘটনায় জড়িত সাতজনকে আসামী করে ভোলাহাট ভোলাহাট থানায় একটি মামলা করেছেন।

 
এবিষয়ে ভোলাহাট থানার ওসি মহসীন আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সিল্কসিটি নিউজকে  জানান,মামলা দায়েরের পর ৯নং ইউপি সদস্য  সিহাবকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের জন্য বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। অন্যরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা যাচ্ছেনা।

স/শ