ভিডিও ধারণকারীর সাজা যাবজ্জীবন থেকে কমে ৬ মাস!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

অমানবিক নির্যাতনের কারণে হত্যার শিকার সামিউল আলম রাজন হত্যার দৃশ্য ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া নূর মিয়ার সাজা যাবজ্জীবন থেকে কমিয়ে  ছয় মাস করা হয়েছে। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

 

নির্যাতনের ভিডিওটি ধারণ করায় রাজন হত্যার ঘটনাটি প্রকাশিত হয় বলে তার সাজা কমানো হয়েছে বলে রায় ঘোষণাকালে উল্লেখ করেছেন আদালত। আদালত বলেন, এ মামলায় এই ভিডিও ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য। ফলে তার সাজা কমিয়ে ৬ মাস করা হয়েছে। আদালত এও বলেন, তার ভিডিও ধারণ ‘ইনটেনশনাল’ ছিল না, কৌতুহলবশত সে এটি করেছে।

 

২০১৫ সালের ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে ১৩ বছরের শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নূর মিয়া রাজনকে নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিও করেন এবং তারপর ছড়িয়ে দেন ইন্টারনেটে। ঘটনার পর মামলার মূল আসামি কামরুল ইসলাম সৌদি আরবে পালিয়ে গেলে এই ভিডিও দেখে প্রবাসীদের সহযোগিতায় তাকে আটক করে সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়। আদালত বলেন, তার এই ভিডিও ধারণ ‘ইনটেনশনাল’ ছিল না।

 

সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালত ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর রায় ঘোষিত হয়। রায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া একজনের যাবজ্জীবনসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। আসামিদের মধ্যে কামরুল ইসলাম, ময়না চৌকিদার, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল ও জাকির হোসেন পাভেল আহমদের ফাঁসির আদেশ হয়।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন