`ভালোবাসার মহিমা’- জে. জে. জাহিদ হাসান

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
                   ‘ভালোবাসার মহিমা’
পরন্ত বিকেলে দুরন্ত গতিতে ছুটে চলছিলাম আমি, রেজওয়ান কবির, জিহাদ মাহম্মুদ।জোরালো শব্দে গানছিল আমার আর জিহাদের  গলায়, রেজুর রাগ হচ্ছিল বঠে । যাই হোক মুখ বুঝে সয়ে গেল আমার জন্য।হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ পিছু ফিরে দেখি রেজু নেই, একটু দূরে নদীর ঠিক কিনারে মেতে উঠেছে প্রকৃতির  সাথে রাধা কৃষ্ণ  প্রেম লীলায় মিশে গেছে মা মাটির মমতা বোধের সিগ্নতায়। লোভ সমলাতে পারলাম না ওর সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই ও মুখে কিছু না বলে হাত ইশারায় দেখিয়ে দিল। প্রেম ও লীলা কেই বা সামলাতে পারে এমন লোভ। তাই আমিও মেতে উঠলাম প্রকৃতির লীলায়। বাহ্ কী আশ্চর্য! কী মহিমা!
ভালোবাসার কোনো উপাদানেরই কমছিল না যাবার সময় হয়ে গেছে তবু নিজের কথা একবার ও না ভেবে অপরকে খুসি করার মহিমায় মেতে উঠেছিল একে অপরে। অপর জন চলে যাবে এটা জেনেও বুকে শত কষ্টকে পাথর চাপা দিয়ে মুখে হাসি দিয়ে শেষ বিদায় দিচ্ছিল প্রিয়তমকে।প্রিয়তমও ঠিক যাবার সময় হয়েছে ভুলে নিজের আলোয় আলোকিত করছিল প্রিয়তমাকে। প্রিয়তমাও প্রিয়তমের শেষ সম্বল টুকু দিয়েও নিজেকে সজ্জিত করার মহিমায় মেতে উঠেছে যেন প্রিয়তমের শেষ নিঃশ্বাসটুকুতেও প্রিয়তমার মুখের হাসিটা দেখে যাতে পারে।আসলেই প্রকৃত পক্ষে এরা ভালোবাসার কারিগর প্রেম পুজারী।প্রিয়তম পরন্ত বিকেলের সূর্য যাবার শেষ সময়টুকুতেও প্রিয়তমা পদ্মাকে সজ্জিত করেছিল নিজের আলোয়।
ভালোবাসতে চাইলে সূর্যও পদ্মার মহিমায় অভিভূত হও। মহিমায় অভিভূত হও।অযথা মিথ্যা মহিমায় নিজেকে আলোকিত করো না এতে তুমি আলোকিত হবে না বরং মিথ্যার মায়ার ফাঁদে পড়বে।
‘ভালোবাসতে চাইলে,
পদ্মা আর সূর্যের মতো হও
কচুর পাতার উপর পড়া পানির মতো নয়।’
লেখক পরিচিতি: মো:জাহিদুল ইসলাম জাহিদ
শিক্ষার্থী, কামারুজ্জামান সরকারি ডিগ্রী কলেজ, রাজশাহী্।
স্থায়ী ঠিকানা: সমেশপুর, বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ।