ভারতে মাঙ্কিপক্সে এ পর্যন্ত আক্রান্ত ৬

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

ভারতের দিল্লিতে দ্বিতীয়বারের মতো মাঙ্কিপক্সে ৩৫ বছর বয়সী একজন সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে ওই ব্যক্তির বিদেশ ভ্রমণের রেকর্ড নেই। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ নিয়ে ভারতে এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সে ছয়জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেলো।

সোমবার (১ আগস্ট) নাইজেরিয়ার এক নাগরিকের শরীরে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের খবর পাওয়ার পর দিল্লির সরকার ও রাজধানীর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে ফের সতর্ক করে দিয়েছে কেন্দ্র।

এর আগে দিল্লিতে আরও একজনের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়। তবে এবার আক্রান্ত ব্যক্তি সম্প্রতি বিদেশ ভ্রমণ করেননি বলে দাবি করেছেন। গত পাঁচ দিন ধরে তার শরীরে ফোস্কা, জ্বরসহ মাঙ্কিপক্সের নানা উপসর্গ দেখা দেয়। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই ব্যক্তি।

এদিকে, মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত সন্দেহে আফ্রিকান আরও দুই নাগরিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

ভারতে কেরালার ত্রিশূরে মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত হওয়ার প্রথম ঘটনা প্রকাশ্যে আসে সম্প্রতি।

আফ্রিকার পর ইউরোপ ও আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়েছে বিরল রোগ মাঙ্কিপক্স। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি দেশে তরুণদের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিশেষ করে ফ্রান্স, ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, স্পেন, পর্তুগাল এবং যুক্তরাজ্যে মাঙ্কিপক্স রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে।

জ্বর, গায়ে ব্যথা, আকারে বড় বসন্তের মতো গায়ে গুটি বের হওয়াকে আপাতত মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মাঙ্কিপক্সের একটি রূপ এতটাই ভয়ংকর যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ১০ শতাংশ মারাও যেতে পারেন।

তবে এ ভাইরাসে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে যান। বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে এটি অনেকটা জল বসন্তের ভাইরাসের মতো। পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার নিরক্ষীয় বনাঞ্চলে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি।

১৯৫৮ সালে বিজ্ঞানীরা এই রোগটি প্রথম শনাক্ত করেন। তারা তখন গবেষণায় বানরদের মধ্যে ‘পক্স-সদৃশ’ রোগের অস্তিত্ব টের পান এবং পরে এটি মাঙ্কিপক্স নামকরণ হয়। মানব শরীরে এর সংক্রমণ ঘটে ১৯৭০ সালে। কঙ্গোর প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি নয় বছর বয়সী ছেলের মধ্যে ঘটে এ সংক্রমণ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, প্রতি বছর আফ্রিকার প্রায় ডজনখানেক দেশে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের খবর আসে। বেশিরভাগই কঙ্গোতে, যেখানে বছরে প্রায় ছয় হাজার মানুষ শনাক্তের রিপোর্ট পাওয়া যায় এবং নাইজেরিয়ায় এ সংখ্যা কমপক্ষে তিন হাজার।

এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনো চিকিৎসা নেই। তবে যে কোন ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মতোই উপযুক্ত পদক্ষেপ নিয়ে এর প্রকোপ রোধ করা যায় বলে মনে করেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ