‘ভারতীয় মুসলমানদের অধিকাংশই হিন্দুদের বংশধর’

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: ভারতের মুসলমানদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই হিন্দুদের বংশধর৷ গোমাংস ইস্যুতে সোমবার লোকসভার বিতর্কে এমনটাই বললেন বিজেপি সংসদ সদস্য হুকুমদেব নারায়ণ যাদব৷ সেইসঙ্গে হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়কেই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি৷

দেশের একাধিক রাজ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে তুচ্ছ কারণে নিধনের সম্মুখীন হতে হচ্ছে৷ এই অভিযোগে সোমবার সংসদে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একযোগে তোপ দাগে বিরোধীরা৷এইসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণে নরেন্দ্র মোদীর সরকার কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না বলেও বিরোধী বেঞ্চ থেকে অভিযোগ তোলা হয়৷অভিযোগের জবাবে বলতে উঠে বিহারের মধুবনীর বিজেপি সংসদ সদস্য হুকুমদেব নারায়ণ যাদব বলেন, এই ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং৷

এইসব ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের সঙ্গে কেরলে যারা সঙ্ঘের দফতরে হামলা চালিয়েছে তাদের কোনও ফারাক নেই৷ বিজেপি সাংসদের মতে, এইসব ভেকধারীর দেখা রামায়ণেও মিলেছে৷রাবণ ভিখারির ছদ্মবেশে সীতাকে হরণ করেছিল৷ভারতের হিন্দু-মুসলমান সম্পর্ক বোঝাতে আরএসএসের স্বনামধন্য প্রচারক ও তাত্ত্বিক দীনদয়াল উপাধ্যায়ের বক্তব্য তুলে ধরেন হুকুমদেব নারায়ণ যাদব৷ দীনদয়ালকে উদ্ধৃত করেই তিনি বলেন, ‘দেশের অধিকাংশ মুসলমানই হিন্দুদের বংশধর৷’

হুকুমদেব নারায়ণ যাদবের মতে, দেশের প্রত্যেক মুসলমানের যেমন হিন্দুদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো উচিত ঠিক তেমনই হিন্দুদেরও উচিত মুসলমান নাগরিকদের মর্যাদা দেওয়া৷ কিন্তু কংগ্রেস যে অভিযোগ তুলেছে তার উত্তর দিতে তিনি বাধ্য নন৷ তার চেয়ে মৃত্যু বরণেও তিনি রাজি বলে হুংকার দেন হুকুমদেব৷ সেইসঙ্গে বামপন্থীদের ঠুকে বলেন, যাঁরা কংগ্রেসের সঙ্গে বসে বিরিয়ানি খেয়ে বাইরে ‘বিরোধী বিরোধী’ খেলা খেলেন তাঁদেরও কোনও কৈফিয়ত দিতে তিনি রাজি নন৷

বিতর্কের সূত্র ধরেই বিজেপি সাংসদ বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় ‘বন্দেমাতরম’ গাইতে মওলানা আবুল কালাম আজাদ ও খান আবদুল গফ্ফার খান কেউই কুণ্ঠাবোধ করেননি৷অথচ, এখন সেই ‘বন্দেমাতরম’ গাওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠছে!

একইসঙ্গে মাওবাদীদের সঙ্গে সংসদীয় রাজনীতিকদের দহরম-মহরমের প্রসঙ্গও টেনে আনেন মধুবনী লোকসভা কেন্দ্রের জনপ্রতিনিধি৷ ঝোঁকের মাথায় বলতে গিয়ে তিনি বোধহয় ভুলে গিয়েছিলেন, ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যু পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র সঙ্গে নকশালদের আসন সমঝোতা হয়েছিল৷