বড়াল নদী পারাপারে ২০ গ্রামের মানুষের ভরসা নৌকা

আমানুল হক আমান:
খেয়া পারাপারের জন্য যে নৌকা দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা নদীতে থাকে সেই নৌকার মাঝিকে গ্রামের মানুষ চাঁদা তুলে নিয়মিত পারিশ্রমিক দেয়া হয়। মাঝি নদীর দুই পাড়ে শক্ত বাঁশের খুঁটি গেড়ে সেই খুঁটি বরাবর নদীর ওপর দিয়ে টানিয়ে দিয়েছেন মোটা দড়ি। নানা বয়সী যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে ওই দড়ি টেনে টেনে নৌকা চালিয়ে পার হচ্ছে নদী।

রোববার সকালে বড়াল নদীর জামনগর, পাঁকা, বাঁশবাড়িয়া খেয়াঘাটে গিয়ে এ রকম দৃশ্য দেখা গেছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিন যুগের বেশি সময় ধরে বড়াল নদীর ওই খেয়াঘাটগুলো দিয়ে ২০টি গ্রামের মানুষের চলাচল করে। দিনে দিনে চলাচলাকারীর সংখ্যা বাড়ায় বেশ কয়েক বছর ধরে মানুষ জনপ্রতিনিধিদের কাছে সেতু নির্মাণ করার দাবি জানিয়ে আসছে। বিভিন্ন সময় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক নেতারা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হিসেবে নদীতে সেতু নির্মাণ করে দেয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন বলে জানায় গ্রামবাসী।

বাঘা উপজেলার গোচর গ্রামের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার গোচর, কুশাবাড়িয়া, হামিদকুড়া, জোতরঘু ও বাগাতিপাড়ার জামনগর ইউনিয়নের জামনগর, বাঁশবাড়িয়া, মুন্সিপাড়া, কালিকাপুর, রহিমানপুর, গৈয়লারঘোপ, কৈচারপাড়া, দবিলা, হাপানিয়া, বাজিতপুর এবং পাঁকা ইউনিয়নের পাঁকা, শালাইনগর, তকিনগর, মাকুপাড়া, চকগোয়াস, বেগুনিয়া, চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের মৈলইলভাগ, বাসুদেবপুর, ফুলতলাসহ ২০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এই নদী পার হয়ে চলাচল করে।
নদীর পাড়ে পাঁকা ইউনিয়নের পাঁকা উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলেজ, শালাইনগর উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, তকিনগর আইডিয়াল হাইস্কুল, কলেজ, প্রাথমিক বিদ্যালয়, জামনগর ইউনিয়নের জামনগর উচ্চ বিদ্যালয়ম প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডিগ্রী কলেজ, বালিকা বিদ্যালয়, বাঁশবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডিগ্রী কলেজ রয়েছে। ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এপার থেকে ওপারে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে যাতাযাত করে। তবে এলাকাবাসী বড়াল নদীর উপর কুশাবাড়িয়া, গোচর, জামনগর, পাঁকা, বাঁশবাড়িয়া খেয়াঘাটে ব্রিজ নির্মানের দীর্ঘদিনের দাবি জানান।

বাঘা উপজেলা প্রকৌশলী মাকসুদুল ইসলাম বলেন, ব্রিজ নির্মানের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। একনেকে পাশ হলে কাজ শরু হবে।
স/শ