ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা কেন শহর এলাকায় সীমাবদ্ধ?

ঢাকার বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, বরিশালের হিজলার বাসিন্দা সুমি আক্তার মার্চ মাসের মাঝামাঝিতে পরিবারের জন্যে বাড়ি গিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরেই লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় তারা সেখানেই আটকে পড়েন। কিছুদিন পরে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ক্লাস করাতে শুরু করে।

“ঢাকার বাসায় ওয়াইফাই আছে। কিন্তু আমি যেখানে ছিলাম, সেখানে ব্রডব্যান্ডের কোন লাইন নেই। মোবাইল ইন্টারনেট খানিক পাওয়া যায়, কিন্তু সেটার খরচ অনেক, দেখতে না দেখতেই শেষ হয়ে যায়। কী যে সমস্যায় পড়েছিলাম!” বলছেন সুমি আক্তার।

বরগুনার পাথরঘাটার বাসিন্দা আফসানা আক্তার জানাচ্ছেন, তিনি অনলাইনে কিছু কাজ শিখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের পুরো উপজেলায় ব্রডব্যান্ডের কোন সংযোগ নেই। কোন সাইবার ক্যাফে নেই। ফেসবুকিং, অনলাইনে ইমেইল পাঠানো- যা কিছু তাকে মোবাইল ইন্টারনেটের ওপর ভরসা করতে হয়।

বাংলাদেশের সরকার বেশ কয়েক বছর ধরে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনের চেষ্টা করে যাচ্ছে। এজন্য বেশ কিছু প্রকল্পও নেয়া হয়েছে।

অনেক জেলা শহরে ইন্টারনেট অবকাঠামো পৌঁছেছে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বেড়েছে। কিন্তু এখনো দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী এই আধুনিক সুবিধার বাইরেই রয়ে গেছে।

করোনাভাইরাস জনিত পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটি শুরু হওয়ার পর যারা বাড়িতে বসে অফিসের কাজ করার চেষ্টা করেছেন, তারা এবার এই সমস্যাটি খুব ভালোভাবে টের পেয়েছেন। যারা ঢাকায় বা বড় শহরে ছিলেন, তাদের সমস্যা কম হলেও গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের পোহাতে হয়েছে চরম সমস্যা।

ব্রডব্যান্ডে এক কোটির কম গ্রাহক

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশনের মার্চ ২০২০ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে আইএসপি ও পিএসটিএন ভিত্তিক গ্রাহক রয়েছে ৮০ লাখের কিছু বেশি। এর বাইরে ওয়াইম্যাক্স ব্যবহার করেন খুব অল্প কিছু গ্রাহক।

আর মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন সাড়ে নয় কোটির বেশি মানুষ।

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব মো. এমদাদুল হক বিবিসি বাংলাকে জানাচ্ছেন, এই সাধারণ ছুটি চলার সময় বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবহারের হার দেড়শো গিগাবাইটের মতো বেড়েছে। বর্তমানে ১৬০০ জিবিপিএসের মতো ব্যবহার হচ্ছে।

“বিভিন্ন অফিসে, সফটওয়্যার কোম্পানিতে যে ইন্টারনেট ব্যবহার হতো, সাধারণ ছুটির কারণে সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। আবার মানুষজন বাড়িতে থাকায় সেখানে ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে। ব্রডব্যান্ড রয়েছে, মোবাইল ইন্টারনেটের ব্যবহারও বেড়েছে।”

ইন্টারনেট সেবাদাতা কোম্পানিগুলো বলছে, ব্যান্ডউইথ সংগ্রহ থেকে গ্রাহকের কাছে ইন্টারনেট পৌঁছাতে অন্তত ১৬টি উপাদান ব্যবহৃত হয়। তাই কেবল ব্যান্ডউইথের মূল্য কমালেই হবে না, বরং ট্রান্সমিশনের খরচও কমাতে হবে।

দেশের বেশিরভাগ এলাকায় নেই ব্রডব্যান্ড

বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের বিস্তার ঘটাতে ২০১১ সালে ভূগর্ভস্থ ক্যাবল সেবা ন্যাশনওয়াইড টেলিকম্যুনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) দেয়ার জন্য বেসরকারি দুইটি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেয়া হয়।

তবে এখনো দেশের সর্বত্র অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন করতে পারেনি এসব কোম্পানি। এগুলো হলো ফাইবার অ্যাট হোম এবং সামিট কমিউনিকেশনস লিমিডেট। তবে গত বছর বাহন লিমিটেড নামের আরেকটি কোম্পানিকে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।

সরকারি দুইটি কোম্পানি বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং পাওয়ার গ্রিডে সেবা তাদের আওতাধীন এলাকার ভেতরে সীমাবদ্ধ। বেসরকারি যে দুইটি কোম্পানি রয়েছে, তারা বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ করলেও এখনো বেশিরভাগ এলাকাই তাদের আওতায় আনতে পারেনি। বাংলাদেশে টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডকে (বিটিসিএল) লাইসেন্স দেয়া হলেও খুব একটা কাজ করতে দেয়া যায়নি।

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব মো. এমদাদুল হক বলছেন, ভূগর্ভস্থ ক্যাবল সেবার বিস্তারের অভাবের কারণেই সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বিস্তৃত হচ্ছে না।

“ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের স্বল্পতার কারণে প্রত্যন্ত এলাকায় আমরা ব্রডব্যান্ড সেবা খুব একটা নিয়ে যেতে পারিনি। কারণ ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের খরচ এতো বেশি, সেখানে নিয়ে যখন গ্রাহক পর্যায়ে দেয়া হবে, তখন খরচ অনেক বেশি পড়ে যায়। যার কারণে এখনো শহর এলাকাতে ৮০ শতাংশ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে,” তিনি বলছেন।

তবে প্রধান দুইটি এনটিটিএন কোম্পানির একটি, ফাইবার অ্যাট হোমের চীফ টেকনোলজি অফিসার সুমন আহমেদ সাবির বিবিসিকে বলছেন, “আমাদের সেবা কিন্তু অনেক স্থানে একেবারে ইউনিয়ন পর্যায়ে চলে গেছে।”

“চ্যালেঞ্জের জায়গা হলো, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এখনো শহর এলাকায় সীমাবদ্ধ। একেবারে ইউনিয়ন বা প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড এখনো যায়নি, সেজন্য কিছু সময় লাগবে।”

“কারণ এই ব্রডব্যান্ডের জন্য যে ধরণের ইউজার বেজ থাকা দরকার, মাসিক আয় দরকার, সেই অর্থনৈতিক জায়গাটা এখনো তৈরি হয়নি। কিন্তু অবকাঠামো অলমোস্ট ইউনিয়ন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে,” তিনি বলছেন।

সঞ্চালন লাইনে ‘ঘাপলা’

টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ আবু সাইদ খান বিবিসি বাংলাকে বলছেন, “টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে সঞ্চালন ব্যবস্থার খুবই বিপর্যস্ত অবস্থা। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে, কিন্তু আসলে কাজের কাজ বেশি হয়নি।”

তিনি জানাচ্ছেন, বাংলাদেশ সরকার ব্রডব্যান্ডের যে সংজ্ঞা দিয়েছে, সেটা হলো নূন্যতম ১০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ কানেক্টিভটি থাকতে হবে। তার নীচে হলে এটা ব্রডব্যান্ড হবে না। কিন্তু দেশে কতজন ১০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করেন, সেই তথ্য কিন্তু বিটিআরসি কখনোই বলে না। মোবাইলে কী পরিমাণ ডাটা ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই তথ্যও কিন্তু রেগুলেটর প্রকাশ করে না।

আবু সাইদ খান বলছেন, ব্রডব্যান্ডের প্রসারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে সঞ্চালন লাইনের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা। এনটিটিএন ব্যবহার করে যারা ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকেন, তাদের ওপর ২০১১ সাল থেকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া আছে যে, তারা নিজেরা সঞ্চালন লাইন তৈরিতে বিনিয়োগ করতে পারবে না। এ কারণে বাজারে মাত্র দুইটি কোম্পানির কাছে বিশাল বাজারটি কুক্ষিগত হয়ে আছে। অথচ তাদের সেই সক্ষমতা নেই যে, তারা দেশব্যাপী অপটিক্যাল ফাইভার স্থাপন করে সার্ভিস প্রোভাইডারদের সুলভমূল্যে সঞ্চালন ব্যবস্থা বিক্রি করতে পারবে।”

“এ কারণে ব্রডব্যান্ড কেবলমাত্র বড় বড় শহরে সীমাবদ্ধ রয়েছে। এর বাইরে বিস্তার লাভ করতে পারছে না, কারণ সেখানে ব্যবসা পরিচালনার খরচ অত্যন্ত বেড়ে যায় এই এনটিটিএন অপারেটরদের ওপর নির্ভরশীলতার কারণে।” তিনি বলছেন।

ইমদাদুল হক মনে করেন, ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) যদি আরো প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেয়া হয়, তাহলে এই খাতে প্রতিযোগিতার তৈরি হতে পারে। তখন দেশব্যাপী এই নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি ঘটতে পারে।

তবে ফাইবার অ্যাট হোমের চীফ টেকনোলজি অফিসার সুমন আহমেদ সাবির বলছেন, “সঞ্চালন খরচ কিন্তু আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। আসলে যারা বড় ক্যাপাসিটিতে ব্যান্ডউইথ নেন, তাদের ক্ষেত্রে সঞ্চালন খরচ খুব একটা ভূমিকা রাখে না।”

ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ কি কমবে?

বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ড বা মোবাইল ইন্টারনেটের খরচ অত্যন্ত বেশি বেশি অনেকদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন গ্রাহকরা।

মোবাইল ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা জিএসএমএ এর তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের মূল্য তুলনামূলকভাবে বেশি।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেটের মূল্য নিয়ে জরিপকারী যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান ‘ক্যাবল’ হিসাবে, বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারে সবচেয়ে কম খরচ ভারতে, প্রতি জিবি ইন্টারনেটের পেছনে গড় খরচ হয় .০৯ মার্কিন ডলার। খরচের সেই তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ১৯ নম্বরে, যেখানে প্রতি জিবি ইন্টারনেটের পেছনে গড় খরচ হয় .৭০ মার্কিন ডলার।

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব মো. এমদাদুল হক বলছেন, “আমরা যে রেটে ব্যান্ডউইথ কিনি, সেখান থেকে সামান্য লাভে করি। কিন্তু খরচ বেশি হয়ে যায় সঞ্চালনে।”

“ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বা সিলেটে বা অন্য জেলা শহরে ব্যান্ডউইথ নিতে অনেক বেশি খরচ পড়ে যায়। এর সঙ্গে সরকারি কর রয়েছে। এগুলো দিয়ে যে খরচ হয়, তার নীচে তো আর কমানো যাবে না।”

তিনি বলছেন, প্রত্যন্ত এলাকাগুলো ব্রডব্যান্ডের বেশি বিস্তার না হওয়ার এটাও একটা কারণ। কারণ সেখানে ইন্টারনেট নিতে যে খরচ পড়ে যায়, সেটা বিক্রি করার গ্রাহক পাওয়া যায় না।

এসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরসও অব বাংলাদেশের মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এস এম ফরহাদ বিবিসিকে বলছেন, “আমাদের দেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৯৫ শতাংশ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। কোভিড পরিস্থিতির কারণে প্রত্যেক অপারেটর হয় ভল্যুউম বাড়িয়ে দিয়েছে অথবা দাম কমিয়ে দিয়েছে। কারণ আমরা বুঝতে পারছি, এখন মোবাইল ইন্টারনেটেও ওপর বেশিরভাগ নির্ভরশীল।”

“আমাদের অপারেটরদের ব্যান্ডউইথ নিয়ে আবার পাঠাতে হয়, কিন্তু এখানে ট্রান্সমিশন কস্ট অনেক বেশি। যেমন ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ব্যান্ডউইথ পাঠাতে যে খরচ হয়, সেটা কিন্তু কমেনি, যেজন্য আমাদের বাইরের এনটিটিএন কোম্পানিগুলোর ওপর নির্ভর করতে হয়।। সেই খরচ যতদিন না কমবে, ততদিন ঢাকার বাইরে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ কমানো কঠিন।” বলছেন মি. ফরহাদ।

তবে প্রধান দুইটি এনটিটিএন কোম্পানির একটি, ফাইবার অ্যাট হোমের চীফ টেকনোলজি অফিসার সুমন আহমেদ সাবির বিবিসিকে বলছেন, “মফস্বলে বা প্রত্যন্ত এলাকায় যারা আইএসপি সুবিধা দেবেন, তাদের জন্য সরকারি প্রণোদনা দরকার। সেটা এখনো নেই। কিন্তু কেউ যদি প্রত্যন্ত এলাকায় এই ব্যবসা করতে চান, তাকে কিছুটা সুবিধা দিতে হবে। ঋণ দিতে হবে, প্রণোদনা দিতে হবে।”

“এসব জায়গা পিছিয়ে আছে, সন্দেহ নেই। কিন্তু সেটার কারণ নেশনওয়াইড ইনফ্রাস্ট্রাকচার নয়, বরং অন্যান্য নানা কারণ আছে। তবে আস্তে আস্তে সেখানেও যাবে। আগে একসময় ঢাকায় ব্রডব্যান্ড ছিল, এখন সেটা জেলা বা উপজেলা শহরে গিয়েছে। গ্রামেও যাবে, হয়তো একটু সময় লাগবে।”

কী বলছে কর্তৃপক্ষ?

বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ, বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন খান বলছেন, বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী সারা দেশেই ইন্টারনেট বিস্তার করতে অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

“প্রত্যন্ত অনেক এলাকার অনেক মানুষ ইন্টারনেট সুবিধা পাচ্ছেন, আশা করি প্রত্যন্ত এলাকার সবাই অচিরেই এই সুবিধা পাবেন।”

তিনি বলছেন, এনটিটিএন কোম্পানিগুলো তাদের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

“তাদের কিছু অসুবিধাও আছে, আমাদের সামনে তুলে ধরছে, আমরাও সমাধান করার চেষ্টা করছি। অভিযোগ যা পাচ্ছি, সেখানে সমাধানের কাজ হচ্ছে।”

ইন্টারনেটের দাম প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, “এই বিষয়টি নিয়ে আমরা চেষ্টা করছিল। ফিজিবিলিটি পরীক্ষা করে দেখছি যে, কীভাবে এই দক্ষিণ এশিয়ায় আমরা মানুষকে একেবারে কম টাকায় ইন্টারনেট দিতে পারি। সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি, আশা করছি সফল হবো।” সূত্র: বিবিসি বাংলা