ব্যাটিংয়েও ধার বাড়াচ্ছেন আবু হায়দার রনি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় চলমান বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ২৭তম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। গতকাল মঙ্গলবারের ওই ম্যাচে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৬ রান দরকার ছিলো কুমিল্লার। উইকেটে ছিলেন সেট ব্যাটসম্যান ইংল্যান্ডের ডেভিড মালান ও বাঁ-হাতি পেসার আবু হায়দার রনি। বোলার ছিলেন চট্টগ্রামের ইংল্যান্ডের লিয়াম প্লাংকেট। প্রথম বলে ১ রান নেন মালান। ফলে স্ট্রাইক পান রনি। দ্বিতীয় বলে চার ও তৃতীয় বলে ছক্কা মারেন রনি।

সমীকরণ দাঁড়ায় ৩ বলে ৫ রানের। চতুর্থ বলে লেগবাই থেকে ১ রান নিয়ে মালানকে স্ট্রাইক দেন রনি। কিন্তু পঞ্চম বলে ২ রান নিতে গিয়ে রান আউট হন মালান। ফলে শেষ বলে জিততে ৩ রান লক্ষ্য পায় কুমিল্লা। মালানের আউটে শেষ বল খেলতে উইকেটে যান আফগানিস্তানের মুজিব উর রহমান। প্লাংকেটের শেষ বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে বাউন্ডারি মেরে কুমিল্লাকে দুর্দান্ত জয় এনে দেন এই তরুণ স্পিনার। কুমিল্লার জয়ের ম্যাচে ৫১ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৪ রান করেন মালান। রনি ৮ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ১২ রানে।

গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একটি করে চার ও ছক্কায় মারার রহস্য ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানান রনি, ‘আমার আত্মবিশ্বাস ছিল, কারণ আমি পাওয়ার ব্যাটিং নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত কাজ করছি। এমন পরিস্থিতিতে কিভাবে কাজ করা যায় সেটা জেনেছি। আর মালান ছিল। একটা সাহস ছিল যে পারব আমরা।’

শেষ ওভারে সেট ব্যাটসম্যান মালানকেই স্ট্রাইক দেয়া প্রধান লক্ষ্য ছিলো রনির। এমনটাও জানান তিনি, ‘আসলে শেষ ওভারটি অনেক রোমাঞ্চকর ছিল। আমার পরিকল্পনা ছিল মালানকে স্ট্রাইক দেয়া। শেষ ওভারে যখন খেলা চলে আসে তখন এক দেওয়ার অবস্থা ছিল না। কারণ রান দরকার ছিল ১৬। আমিও চেষ্টা করেছি মেরে রান নেওয়ার। আসলে ওই সময় কাজটা মোটেও সহজ ছিল না। নতুন ব্যাটসম্যান এসে ১ বলে ৩ রান করা কঠিন। এই জন্য বেশি সমস্যা হয়ে গিয়েছিল।’