বেপরোয়া রামেকের ইন্টার্নি চিকিৎসকরা: বিক্ষোভে বক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা ভূল চিকিৎসা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে। তারা চিকিৎসক নয়, তারা সন্ত্রাসী। তারা মাদকসেবী। কোনো মাদকসেবীর সুস্থ্য মানসিকতা থাকে না। তাদের দিয়ে চিকিৎসাও হয় না। হাসপাতালে সব কিছু থাকা সত্তেও তারা ঠিকমত চিকিৎসা দেয়না। আবার রোগীর স্বজনার বলতে গেলে তারাদের নানা ভাবে গালিগালাজ ও মারধর করে পুলিশে তুলে দেয়।

 

আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের সময় বক্তরা এসব কথা বলেন।

 

এসময় বক্তারা বলেন, রামেক হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়েছে। বেপরোয়া ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোগির স্বজনদের পিটিয়ে আহত করে পুলিশে দিচ্ছি। মানুষ সুস্থ্য হতে গিয়ে রক্তাক্ত হয়ে ফিরে আসছে।এ ঘটনাগুলোতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদরে বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। রামেক হাসপাতালের ইন্টার্নিদের ভুল চিকিৎসায় রোগিদের হত্যা হলেও এর প্রতিবাদ করলে রামেক ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম অপুর নেতৃত্বে বার বার রোগির স্বজনদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে।

012

বক্তরা বলেন, হামলাগুলার ঘটনায় রোগীদের স্বজনদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু ইন্টার্নি চিকিৎসকদের কিছু বলা হচ্ছে না। বরং তাদের আরো পাওয়া দেয়া হচ্ছে। চিকিৎসকরা তাদের ক্লিনিকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত করতে রোগিদের ওপর প্রতিনিতই এ ধরনের নির্যাতন চালাচ্ছেন। যাতে করে রোগীরা যেন ক্লিনিক মূখি হয়।

 

বক্তরা আরো বলেন, এভাবে আর চলতে দেয়া যাবে না। আগামি ১৫ দিনের মধ্যে সেই নাম ধারী ইন্টার্নি চিকিৎকদের গ্রেফতার করতে হবে। আবার এমন ঘটনা ঘটলে রাজশাহীর মানুষ তা মেনে নেবেন না। এর প্রতিবাদে আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে হাসপাতাল ঘেরাও হবে। হাসপাতাল অভিমুখে লাঠি মিছিল হবে। সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া সবগুলো স্বজন লাঞ্ছনার ঘটনা তদন্ত করে দোষিদের দ্রুত প্রত্যাহার করার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান তারা।

 

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সহসভাপতি হারুনুর রশিদ, অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, রাজশাহী জেলা জজ আদালতের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামানিক দেবু, নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সেলিনা বেগম প্রমূখ। এ সময় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার সাধারণ মানুষগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর রোববার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে রামেক হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রোগী মারা যাওয়াকে কেন্দ্র করে রোগীর স্ব্জন ও ইন্টানী চিকিৎসদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় নিহত মহাসিনের দুই ছেলেকে মারধরে করে পুলিশে দেয় ইন্টার্নি ডাক্তাররা। এ ঘটনায় আহতরা হলেন, তারা হলেন, রফিকুল ইসলাম (৪০) ও আনারুল ইসলাম (৩০)। আর এ ঘটনায় মা রাহেলা বেগম (৬০)।

 

স/আ