মঙ্গলবার , ১২ নভেম্বর ২০১৯ | ১২ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বেনাপোল কাস্টমে ২০ কেজি স্বর্ণ চুরি: তদন্ত কমিটি গঠন, ৫ কর্মকর্তা আটক

Paris
নভেম্বর ১২, ২০১৯ ৭:১৬ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

যশোরের বেনাপোল কাস্টস হাউসের নিরাপদ গোপনীয় ভোল্ট ভেঙে ২০ কেজি স্বর্ণ চুরি করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে ডলার ও টাকা-পয়সা খোয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

সোমবার রাত ১১টায় বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে কাস্টমসের পক্ষ থেকে।

দুর্ধর্ষ চুরির রহস্য উদ্ঘাটনে পোর্ট থানাসহ র‌্যাব, ডিবি, সিআইডি এবং পিবিআই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে ভোল্ট ইনচার্জ শাহাবুল সর্দারসহ পাঁচজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

সোমবার রাত ১০টার দিকে বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী স্থানীয় সাংবাদিকদের ২০ কেজি স্বর্ণ চুরি যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। চুরি যাওয়া স্বর্ণের বাজার মূল্য ১০ কোটি টাকার বলে কাস্টমস সূত্র জানায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুক্রবার, শনিবার ও রোববার ঈদে মিলাদুন্নবীর সরকারি ছুটি থাকায় কেউ অফিসে ছিলেন না। সোমবার সকালে অফিস খুললে চুরির বিষয়টি ধরা পড়ে।

চুরির ঘটনায় কাস্টমসের যুগ্ম-কমিশনার শহিদুল ইসলামকে প্রধান করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

এদিকে তাৎক্ষণিকভাবে ভোল্ট ইনচার্জ শাহাবুল সর্দারসহ পাঁচজনকে বরখাস্ত করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার এসএম শামীমুর রহমান জানান, পুরনো ভবনের দ্বিতীয় তলায় গোপনীয় একটি কক্ষের তালা ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। সেই কক্ষে রক্ষিত লোহার ভোল্ট ভেঙে ২০ কেজি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ভোল্টে মূল্যবান আরও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ, ডলার ও টাকা থাকলেও শুধু ২০ কেজি স্বর্ণ নিয়ে যায় তারা। ভোল্ট ভাঙার আগে দুর্বৃত্তরা সিসি ক্যামেরার সবগুলো সংযোগ কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

ভোল্টে কাস্টম, কাস্টম শুল্ক গোয়েন্দা, বিজিবি ও পুলিশের উদ্ধার করা স্বর্ণ, ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রাসহ মূল্যবান দলিলাদি ছিল।

সূত্র জানায়, সোমবার সকালে ওই ভোল্টের তালা ভাঙা দেখে চুরি হয়েছে বলে আশঙ্কা করেন কাস্টম কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে কাস্টমের কর্মকর্তাসহ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা। তারপর ওই স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বাইরের কাউকে সেখানে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।

বিকাল ৫টার দিকে ডিবি, সিআইডি, পিবিআই, র‌্যাব ও বেনাপোল পোর্ট থানার কর্মকর্তারা ওই ভোল্ট রুমে প্রবেশ করেন। সেখানে হাত-পায়ের ছাপসহ আলামত সংগ্রহ করা হয়।

আলামত সংগ্রহের সময় উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল কাস্টম হাউসের যুগ্ম-কমিশনার শহিদুল ইসলাম, ডিএসবির এএসপি তৌহিদুল ইসলাম, পরিদর্শক সৈয়দ মামুন হোসেন, র‌্যাব জেলা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান, আতিকুর রহমান, এআরও জিএম আশরাফ, বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান প্রমুখ। তারা যৌথভাবে তদন্ত কাজ চালাচ্ছেন।

কাস্টমস হাউসের বেশকিছু বহিরাগত (এনজিও) বিভিন্ন শাখায় অবৈধভাবে কাজ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তাদের মধ্যে ক্যাশ শাখার দায়িত্বে থাকা বহিরাগতরা টিপু এ ঘটনায় জড়িত বলে পুলিশ জানায়। টিপু বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে বলে জানানো হয়।

কাস্টম হাউসে সিসি ক্যামেরায় সুরক্ষিত একটি সংরক্ষিত এলাকায় কীভাবে এ ধরনের দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটলো তা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সব মহলে। কাস্টম হাউসে নিজস্ব সিপাইসহ আনসার ব্যাটালিয়নের একটি ইউনিটও নিরাপত্তার কাজে দায়িত্ব পালন করে থাকে।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান বলেন, ‘বেনাপোল কাস্টমের ভোল্টে বিকল্প চাবি ব্যবহার করে সোনা চুরি করা হয়েছে। এখানে পুলিশ সুপার মঈনুল হকসহ সিআইডি ও পিবিআই কর্মকর্তারা তদন্তকাজ চালাচ্ছেন। আশা করা যায় দ্রুতই দুর্বৃত্তদের আটক করা সম্ভব হবে।

সর্বশেষ - জাতীয়