মঙ্গলবার , ১ আগস্ট ২০১৭ | ১৩ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বিয়ে করতে চেয়ে হাইকোর্টে গেলেন ৮৮ বছরের বৃদ্ধ, হতভম্ব বিচারপতি

Paris
আগস্ট ১, ২০১৭ ৮:২৮ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: বৃদ্ধের আর্জি শুনে হতভম্ব হাইকোর্টের বিচারপতি। এই বয়সে বিয়ে? কিন্তু ছয় ছেলেমেয়ের বাবা কোনও বাধা মানতে নারাজ! তাঁর অভিযোগ, নতুন করে সংসার তিনি পাতবেনই। কারণ সম্পত্তির জন্য তাঁর ছেলেমেয়েরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছেন। এমনকী, বিয়ের ইচ্ছেতেও পুলিশ বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ ৮৮ বছরের অনিলকুমার পালের।

হুগলির জিরাটের বাসিন্দা অনিল পেশায় হুগলি জেলা আদালতের আইনজীবী। তবে তাঁর আর্জি শুনে সোমবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর মন্তব্য, ‘‘এই বয়সে বিয়ে? বৃদ্ধের মানসিক চিকিত্সা প্রয়োজন।’’ যদিও আদালত অবশ্য এই আবেদনে কোনও হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি। অনিলকে প্রয়োজনে নিম্ন আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বিচারপতি এই মামলাটি নিষ্পত্তি করেছেন।
গত ৯ এপ্রিল বিয়ে করতে চেয়ে একটি সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন অনিল। বিজ্ঞাপনে তিনি জানিয়েছিলেন, পাত্রী ষাটোর্ধ্ব হবেন। পেশায় আইনজীবী হলে ভাল। অনিলের কথায়, কয়েকজন যোগাযোগও করেছেন তাঁর সঙ্গে। কিন্তু জানতে পেরে বেঁকে বসেছেন ছেলেমেয়েরা। তাঁর ছেলেমেয়েরা সকলেই বিবাহিত।

অনিলের অভিযোগ, এই বিয়ে আটকাতে তাঁর উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। গত ১ মে তিনি বলাগড় থানায় অভিযোগও দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টে তাঁকে মানসিক চিকিত্সার পরামর্শ দিয়েছে। তাই তিনি হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

অনিলের বক্তব্য, ‘‘জিরাটে তাঁর বসতবাড়ির সঙ্গে লাগোয়া দু’টি মন্দির রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে অনেকটা চাষের জমি। এই সম্পত্তি নিজেদের নামে লিখিয়ে দিতে বেশ কয়েকবছর ধরে ছেলেরা চাপ দিচ্ছেন। এই বয়সে দেখাশোনা করার কেউ নেই। তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ অনিল বলেন, ‘‘তাঁর বড় ছেলে সেনাবাহিনীতে ছিলেন। সম্প্রতি অবসর নিয়ে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করছেন। মেজো ছেলের বড় ব্যবসা রয়েছে। আর ছোট ছেলে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করে। তিনি বাড়িতেই থাকেন। কিন্তু তাঁরা সকলেই সম্পত্তির জন্য আমার উপরে অত্যাচার চালাচ্ছেন।’’

বৃদ্ধের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, পুলিশ ওঁকে হেনস্থা করছে। মানসিক চিকিত্সা করাতে বলছে। এটা ঠিক নয়। তা শুনে বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘পুলিশ আদালতের কথাই বলেছে।’’

সর্বশেষ - বিচিত্র