বিসিসিআই সভাপতির পদ ছেড়ে দেবেন সৌরভ!

অনেক ঢাক-ডোল পিটিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। তাকে নির্বাচিত করার জন্য আর কেউ প্রার্থীই হয়নি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়ে যান কলকাতার মহারাজ। কিন্তু সভাপতি নির্বাচিত হলেও তখনই জানা যায়, মাত্র ৯ মাসের জন্য দায়িত্ব পালন করতে পারবেন তিনি। কারণ, সুপ্রিম কোর্টে জমা দেয়া লোধা কমিশনের সুপারিশ।

সেই সুপারিশ অনুযায়ী এখন কুলিং পিরিয়ডে থাকার কথা সৌরভ গাঙ্গুলি এবং বিসিসিআইয়ের সেক্রেটারি জয় শাহের। কিন্তু এই কুলিং পিরিয়ডের নিয়মটা তুলে দেয়ার জন্য আদালতে আবারও আবেদন জানিয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি এবং জয় শাহ। তাদের মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত সেই আবেদন এখনও ঝুলে রয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে।

তবে সুপ্রিম কোর্ট যে রায়ই দিক না কেন, সেটা অবনত চিত্তে মেনে নেয়ার কথা জানালেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান সভাপতি। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কোনোরকম চ্যালেঞ্জ নয়! শীর্ষ আদালত বললে, বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের পদ ছেড়ে দেবেন বলেও সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন সৌরভ গাঙ্গুলি।

লোধা কমিশনের সুপারিশ অনুসারে, রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা বা বোর্ডে বা দুটো মিলিয়ে টানা ছয় বছর দায়িত্ব পালন করলে এরপ তাকে বাধ্যতামূলকভাবে তিন বছরের জন্য কুলিং অফে যেতে হবে। বর্তমান বোর্ড সভাপতি আর সচিব দু’জনের ক্ষেত্রেই রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আর বিসিসিআই মিলিয়ে দায়িত্ব পালনের ৬ বছর হয়ে গেছে। বোর্ড সচিব হিসেবে জয় শাহের মেয়াদ শেষ হয়েছে ৭ মে। অন্যদিকে সৌরভের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২৭ জুলাই, ২০২০।

২১ এপ্রিল বিসিসিআইর পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয় যে ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সৌরভদের যেন কুলিং অফে পাঠানো না হয়। বোর্ড সভাপতি আর সচিবের মেয়াদ যেন ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

২২ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে ভারতের প্রধান বিচারপতি এসএস বোবদে ও বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চ বিসিসিআই’র আবেদন গ্রহণ করলেও দু’সপ্তাহ পর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়।

ভারতের শীর্ষ আদালতে বোর্ডের মামলার শুনানি ১৭ আগস্ট হওয়ার কথা থাকলেও সেটি নির্দিষ্ট তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সূত্র জানায়, ভারতের শীর্ষ আদালতের বক্তব্য এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের হাই প্রোফাইল আবেদনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ মামলার নিষ্পত্তি হওয়া বাকি। তাই আপাতত ঝুলে রইল সৌরভ আর জয় শাহের ভবিষ্যত।

সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, ‘আমরা আবেদন জানিয়েছি। দেখা যাক কী হয়। যদি আদালত আমাদের চলে যেতে বলে, তাহলে ওখানেই বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়ে যাচ্ছে আমার আর জয়ের (শাহ) জন্য।’

সঙ্গে সৌরভ আরও বলেন, ‘প্রত্যেকেরই আদালতে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। আমরা ভুল হতে পারি, ঠিক হতে পারি! ভাল-খারাপ যাই হোক না কেন, দেশের শীর্ষ আদালতে যে কেউ আবেদন করতে পারেন। আদালত যদি পক্ষে রায় দেয় তাহলে তুমি থাকবে, না হলে বেরিয়ে যেতে হবে। এ তো একেবারে পানির মতো সোজা।’

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ