সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং ক্রিকেটারদের চলমান সংকটের নিরসন হয়েছে। খেলায় ফেরার কথা জানিয়েছেন খেলোয়াড়রা। আর তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে বোর্ড।
তবে বেশ কিছু কারণে এর পরও শংকা থেকে যাচ্ছে। সংকট সমাধানের সভার শুরুতে ক্রিকেটারদের একহাত নেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। পরে স্বাভাবিক আলোচনা করেন তিনি। ফলে ক্রিকেটারদের প্রতি বোর্ডের দৃষ্টিভঙ্গি আদৌ বদলাবে কি না? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
অতীতেও নানা সময়ে বিভিন্ন আশ্বাস দিয়েছে বিসিবি। কিন্তু পরে বাস্তবায়ন করেনি। এবারো সব পূরণ করবে বলে মনে হয় না। তবে এবারের বিষয়টি নিয়ে তুমুল হইচই হয়েছে। ফলে কিছুটা মেনে নিতে পারে বোর্ড।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ম্যাচ ফি ১ লাখ টাকা করার দাবি জানিয়েছেন ক্রিকেটাররা। পাশাপাশি মাসিক বেতন ৫০ শতাংশ বাড়ানোর কথা বলেছেন তারা। তাদের পারিশ্রমিক বাড়োনোর আশ্বাস দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। কিন্তু কতটা বাড়বে তা নিশ্চিত সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
নিশ্চিত ঘোষণা না পেয়ে ‘টাইম কিলিং’ বলে সভা থেকেই বের হয়ে যান ঘরোয়া পর্যায়ের এক ক্রিকেটার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞ আরেক ক্রিকেটার বলেন, মনে হয় না, আমাদের বেতন খুব একটা বাড়বে।
কারো কারো আবার শংকা, আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক। কিন্তু এর পর কী ঘটে তা দেখার বিষয়। আমাদের ক্রিকেট জীবন অস্বাভাবিক করে তুলতে পারে বোর্ড। আমাদের ক্রিকেট ক্যারিয়ারই না আবার ধ্বংস করে দেয়া হয়।
এতে স্পষ্ট, বিসিবির প্রতি অনাস্থা তৈরি হয়েছে ক্রিকেটারদের। তবে এটা একদিনে হয়নি। দীর্ঘদিনের অবিশ্বাস থেকেই এ অবস্থার সৃষ্টি। এ আন্দোলন না হলে হয়তো তা বোঝা যেত না।