বিসিএস পরীক্ষা বন্ধ রাখতে বলল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

নতুন করে করোনাভাইরাসের প্রকোপ গত এক সপ্তাহ ধরে বাড়তে শুরু করেছে। টিকাদান কার্যক্রম চলমান থাকলেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না করোনা পরিস্থিতি। সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতি রুখতে ১২ দফা সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তার মধ্যে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা, যেকোনো পাবলিক পরীক্ষা যেমন বিসিএস, এসএসসি, এইচএসসিসহ অন্য পরীক্ষা বন্ধ রাখা।

দেশে করোনা শনাক্তের এক বছর পার হওয়ার দুই মাসের ব্যবধানে গত ১০ মার্চ আবার হাজারের ঘরে পৌঁছায় করোনা শনাক্ত। এরপর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা শুধু বাড়ছে।

বুধবার (১৭ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮৬৫ জন। ২৪ ঘণ্টার এই শনাক্ত গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১ জন।

গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মিনি কনফারেন্স রুমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও বর্তমানে করণীয় সম্পর্কে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১২টি প্রস্তাব গৃহীত হয়।

প্রস্তাবগুলো হলো :

১. সম্ভব হলে কমপ্লিট লকডাউনে যেতে হবে, সম্ভব না হলে ইকোনমিক ব্যাল্যান্স রেখে যেকোনো জনসমাগম বন্ধ করতে হবে।

২. কাঁচা বাজার, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শপিং মল, মসজিদ, রাজনৈতিক সমাগম, ভোট অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পবিত্র রমজান মাসের ইফতার মাহফিল ইত্যাদি অনুষ্ঠান সীমিত করতে হবে।

৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ আছে সেগুলো বন্ধ রাখতে হবে। অন্যান্য কার্যক্রম সীমিত রাখতে হবে।

৪. যেকোনো পাবলিক পরীক্ষা (বিসিএস, এসএসসি, এইচএসসি, মাদ্রাসা, দাখিলসহ অন্যান্য) বন্ধ রাখতে হবে।

৫. কোভিড পজিটিভ রোগীদের আইসোলেশন জোরদার করা।

৬. যারা রোগীদের সংস্পর্শে আসবে তাদের কঠোর কোয়ারেন্টিনে রাখা।

৭. বিদেশ থেকে বা প্রবাসী যারা আসবেন তাদের ১৪ দিনের কঠোর কেয়ারেন্টিনে রাখা এবং এ ব্যাপারে সামরিক বাহিনীর সহায়তা নেওয়া।

৮. আগামী ঈদের ছুটি কমিয়ে আনা।

৯. স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আইন প্রয়োজনে জোরদার করা।

১০. পোর্ট অব এন্ট্রিতে জনবল বাড়ানো, মনিটরিং জোরদার করা।

১১. সব ধরনের সভা ভার্চুয়াল করা।

১২. পর্যটন এলাকায় চলাচল সীমিত করা।

সূত্র : আমাদের সময়