বিবাহিত জীবনে সম্পর্ককে সুন্দর করবেন যেভাবে

বিয়ে মানেই দুটি মনের মিলন। বিবাহিত জীবনের ছোট ছোট চাপা অভিমান, অভিযোগ থেকেই জন্ম হয় অনেক ভুল-বোঝাবুঝির। সংসারও ভেঙে যায় অনেক সময়। আর বিয়ের সম্পর্কের সমীকরণ রক্ষার সহজ সূত্র হলো সমঝোতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক যেভাবে সুন্দর করবেন বিবাহিত জীবনের সম্পর্ককে।

বিয়ের পর স্বামীর হাত ধরেই আপনার সংসারে প্রবেশ। আর তাই স্বামীই কিন্তু আপনার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনার প্রতি তাঁর সমর্থন কতটা রয়েছে সেটা ভালো করে বুঝে নিন। স্বামী কিভাবে ভালো থাকবেন সেই কর্তব্যও কিন্তু আপনার। তাই এমন পরিস্থিতি কখনও তৈরি করবেন না যেখানে তাঁকে আপনাকে বা পরিবারকে যে কোনো একটা বেছে নিতে হবে। আর বেছে নিলেও সারা জীবন দোষারোপ করে যাবে আপনাকেই। তাই প্রথম থেকে ছোটখাটো সমস্যায় স্বামীকে জড়াবেন না। যাঁর সঙ্গে আপনার সমস্যা তাঁর সঙ্গে নিজেই কথা বলে মিটিয়ে নিন। আপনি কী চাইছেন সেটাও কিন্তু নিজেকেই ঠিক করে নিতে হবে। সমস্যা হলে সরাসরি কথা বলুন। কোনো মাধ্যম রাখবেন না। এতে সম্পর্ক অযথা জটিল হবে না।

স্বামীর সঙ্গে সমস্যা হলেও তা নিজেদের মধ্যে রাখুন। বাইরের কাউকে তার মধ্যে জড়াবেন না। কিংবা আপনার যে কোনো রকম সমস্যা হয়েছে তাও বলবেন না। এতে দুজনেরই সম্মান বজায় থাকবে। প্রয়োজনে একে অপরকে পাশেও পাবেন।

অযথা মাথা গরম নয়। বরং মাথা ঠাণ্ডা রেখে সব কিছু বিচার বিবেচনা করুন। মাথা ঠাণ্ডা থাকলে বুদ্ধি দিয়ে অনেক সমস্যাই ডিল করতে পারবেন। এর সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতে যুদ্ধ জয়ের একটা মোক্ষম অস্ত্র হতে পারে আপনার সেন্স অব হিউমার।

আপনাকে কেউ কড়া কথা বললে সেক্ষেত্রে রেগে বা চুপ করে না থেকে জবাব দিন। কিন্তু মিষ্টি কথায় বলুন। কঠিন বা শক্ত কথাকে মুড়ে ফেলুন মিষ্টির স্বাদে। ব্যাস এরপর আর তিনি কোনোদিন কিছু বলার আগে পাঁচবার ভাববেন।

সবার সঙ্গেই সম্পর্ক শ্রদ্ধার চোখে দেখুন। তিনি যেই হোক না কেন। কারোর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন না। কারণ তাদের সবার সঙ্গে আপনার মোটেই সবদিন দেখা হবে না। তবে কারোর জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী বা কোনো অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানাতে ভুলবেন না। প্রয়োজনে আপনি নিজেই ছোট করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারেন।

একজন মানুষকে ঠিকভাবে চিনতে আমাদের সারা জীবন লেগে যায়। তাই কাউকে ভালো খারাপের তকমা লাগিয়ে দেবেন না। অতিরিক্ত প্রত্যাশা আর আবেগটাকে আগেই তালা দিয়ে বন্ধ করে রাখুন। ‘আমাকে কেন দিল না’, ‘ওকে কেন দিল’, ‘আমাকে কেন এটা বলল না’ এসব ভাবনাকে মনের থেকে ডিলিট করে দিন। দেখবেন সব কিছু আগের থেকে সহজ হয়েছে।

প্রতিদ্বন্দিতায় না গিয়ে একটু বুদ্ধি আর ধৈর্য খরচা করুন। দেখবেন সব কিছুই সুন্দর থাকছে।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ