নিজস্ব প্রতিবেদক:
শুষ্ক মৌসুমে রাজশাহীর পদ্মায় পানি না থাকলেও রাজশাহী এখন ডুবতে বসেছে ফারাক্কা থেকে ধেয়ে আসা পানিতে। ফারাক্কার প্রায় সবগুলো গেট খুলে দেয়ার পরে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে পদ্মার পানি। বর্তমানে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে পদ্মার পানি্।
আজ শুক্রবার পদ্মার পানি বিপৎসীমার মাত্র ১৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাজশাহীতে পদ্মার পানির বিপৎসীমা ১৮ দশমিক ৫০ মিটার। শুক্রবার সন্ধ্যায় পদ্মায় পানির উচ্চতা ছিল ১৮ দশমিক ৩১ মিটার। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে আগামী সোমবার রাজশাহীতে পদ্মার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করবে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে।
ওই দিন পানির উচ্চতা দাঁড়াবে ১৮ দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার।
এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মখলেছুর রহমান বলেন, ‘বর্ষা কাল হিসেবে পদ্মায় পানি স্বাভাবিক হারেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্ষাকালে এমনটি হয়। এখনও পদ্মার পানি বিপদসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। আর ফারাক্কার পানি বাংলাদেশে প্রবেশ করছে তা যমুনা নদীর দহনে দিয়ে চলে যাচ্ছে। আর বর্ষা মৌসুমে বাঁধ খুলতে হয় না’ত পানির চাপে বাঁধ টেকানো সম্ভব হবে না ’
শুক্রবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ লিডার শহিদুল ইসলাম সিল্কসিটি নিউজকে জানায়, আজ সকাল ৬ টায় ১৮ দশমিক ২৬ সেন্টিমিটার। সন্ধ্যা ৬ টায় সেটি বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় বিকেল ১৮ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার। ১৮ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার ফলে বিপৎসীমার মাত্র ১৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পদ্মার পানি।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টায় ১৮ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার। সন্ধ্যা ৬ টায় সেটি বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় বিকেল ১৮ দশমিক ২২ সেন্টিমিটার।
গতকাল বুধবার সকালে সেই পানি বৃদ্ধি হয়ে দাঁড়ায় ১৮ দশমিদক ৫ সেন্টিমিটার। আবার বিকেল ৬টায় পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে গিয়ে দাঁড়ায় ১৮ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার। মঙ্গলবার সকালে যা ছিল ১৭ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার। সেটি ওইদিন বিকেল ৬টায় বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ১৭ দশমিদক ৯৪ সেন্টিমিটার।
ফারাক্কার প্রায় সবগুলো গেট খুলে দেয়ার পর সারাদিনে আজকে পদ্মার পানি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। যা এ বছরের সর্বোচ্চ পানি প্রবাহ বলেও দাবি করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আশঙ্কার কিছু নেই। পানি বাড়লেও বাঁধকে প্লাবিত করতে পারবে না। কারণ, বাঁধের সর্বোচ্চ উচ্চতা ২১ দশমিক ৫০ মিটার। এর আগে গত ২০১৩ সালে ৭ সেপ্টেম্বর পদ্মার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। ওই দিন পানির উচ্চতা ছিল ১৮ দশমিক ৭০ মিটার। আর বাঁধ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
যদিও দেশে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলে আসছিলো, ১১ লাখ কিউসেক পানির প্রবাহ যদি বাংলাদেশের ভেতরে আসে তাহলে বাংলাদেশ অংশে পদ্মায় পানি বাড়বে কিন্তু বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হবে না।
স/অ