মঙ্গলবার , ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ | ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বিপদে দেশের তৈরি পোশাক খাত

Paris
জানুয়ারি ১৬, ২০২৪ ১০:১০ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল আগ্রাসন, ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের আক্রমণ এবং যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য জোটের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে চরম ঝুঁকিতে লোহিত সাগর-সুয়েজ খাল রুট। ফলে জাহাজগুলোকে ইউরোপ-আমেরিকায় যেতে হচ্ছে বিকল্প পথে আফ্রিকা ঘুরে। যার প্রভাবে পড়েছে চলাচলে। এতে কঠিন সময়ের মুখোমুখি দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক।

পৃথিবীজুড়ে চলাচলকারী জাহাজের ১২ শতাংশ ব্যবহার করে লোহিত সাগর-সুয়েজ খাল রুট। বাংলাদেশে যাতায়াতকারী জাহাজের মধ্যে এই পথ ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৬০ ভাগ। ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের আগ্রাসন ইস্যুতে লোহিত সাগর-সুয়েজ খাল এলাকায় ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের আক্রমণ এবং যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য জোটের পাল্টা হামলায় মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে রুটটি।

উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে এই রুট এড়িয়ে চলছে অনেক জাহাজ। বিকল্প পথ খুঁজে নিতে হচ্ছে আফ্রিকা ঘুরে। ইউরোপ-আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের চলাচলে বাড়তি পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে ৭ হাজার ৩০০ নটিক্যাল মাইল। ফলে যাওয়া-আসায় সময় বেশি লাগছে প্রায় ১ মাস। জাহাজপ্রতি তেল খরচ বেড়েছে ২ মিলিয়ন ডলার। আর এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ইতোমধ্যে বৈশ্বিক জাহাজভাড়া বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।

রিলায়েন্স শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদ আলম বলেন, লোহিত সাগর-সুয়েজ খাল রুট দিয়ে চলাচলে সমস্যা হচ্ছে পোশাকবাহী জাহাজগুলো। ফলে বিকল্প পথে যাতায়াত করতে হচ্ছে সেগুলোকে। এতে খরচ বেড়েছে বহুগুণ।

এমএসসির হেড অব অপারেশন্স অ্যান্ড লজিস্টিকস আজমির হোসেন চৌধুরী বলেন, এখন যাওয়া-আসায় পোশাকবাহী জাহাজগুলোকে অতিরিক্ত ১ মাস লেগে যাচ্ছে। তাতে জ্বালানি খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই কন্টেইনারের ভাড়া বেড়েছে।

এমনিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকের অর্ডার কমেছে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ। এখন লোহিত সাগর সংকট মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের মূল বাজার ইউরোপ-আমেরিকা। সেখানে সচরাচর যেতে হয় সংকটে পড়া রুটটি দিয়ে। ফলে ক্রেতারা নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করছে।

ইন্ডিপেন্ডেন্ট অ্যাপারেলস লিমিটেডের এমডি এস এম আবু তৈয়ব বলেন, একটি শিপমেন্ট ২ সপ্তাহ পরে করার কথা ছিল আমাদের। কিন্তু এখন সেই সময়ের আগেই তা চাচ্ছেন ক্রেতারা। কারণ, পণ্য পৌঁছতে সময় লাগছে। তবে সেটা সম্ভব নয়। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

সহসা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বৈদেশিক বাণিজ্যে ঘোর অন্ধকার দেখছেন উদ্যোক্তারা।

সর্বশেষ - জাতীয়