বিধ্বংসী সাকিবকে থামানোর পর মৃত্যুঞ্জয়ের ৪ উইকেট

দলের প্রয়োজনের সময় আবারও জ্বলে উঠলেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আজ তার ব্যাট থেকে এসেছে ঝলমলে ফিফটি। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ব্যাট হাতে রীতিমতো বিধ্বংসী রূপে ধরা দিয়েছিলেন বরিশাল অধিনায়ক। কিন্তু ইনিংসটার শেষের রং পাল্টে দেন চট্টগ্রাম পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।

আসরের প্রথম হ্যাটট্রিক উপহার দেওয়া ২০ বছর বয়সী এই পেসার আজ ৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। বরিশাল থেমেছে ১৪৯ রানে।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ফরচুন বরিশালের শুরুটা ভালো হয়নি। দলে সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি মুনিম শাহরিয়ার। দলীয় ২ রানে তাকে ফেরান শরীফুল ইসলাম। এরপর ৩৮ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন ক্রিস গেইল এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্যারিবিয়ান দানব গেইল ধীরে সুস্থেই শুরু করেছিলেন। তৃতীয় ওভারে উইল জ্যাকসকে লং অফ দিয়ে উড়িয়ে হাত খোলেন। পরের দুই ওভারে এই ইংলিশ অফস্পিনারকে আরও দুটি ছক্কা ও ১টি চার মেরে তার বলেই মিরাজের তালুবন্দি হয়ে ১৯ বলে ২৫ রানে থামেন ইউনিভার্স বস। এরপর নাজমুলের সঙ্গে অধিনায়ক সাকিবের ৩১ রানের জুটিটা জমে গিয়েছিল। আফিফ হোসেনের বলে ২৯ বলে ২৮ রান করা শান্ত আকবার আলীর গ্লাভসবন্দি হলে থামে সেই জুটি।

সাকিব খেলতে থাকেন আপন মেজাজে। তার সঙ্গী তৌহিদ হৃদয়। অন্যদিকে বল হাতে ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। ৩০ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ফিফটি পূরণ করা সাকিবকে পরের বলেই বিদায় করে মৃত্যুঞ্জয় শিকার ধরা শুরু করেন। সেটি ছিল ১৭তম ওভার। ফিরতি ওভারে এসে প্রথম বলেই তুলে নেন নুরুল হাসান সোহানকে (০)। পরের বলটিতে উইকেট আসেনি। তবে সেই ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ইরফান শুকুর (৫) এবং মুজিব উর রহমানকে (১) ফিরিয়ে দেন মৃত্যুঞ্জয়। ২ ওভারে মাত্র ৬ রান খরচায় তার শিকার ৪টি। ১৯.১ ওভারে ১৪৯ রানেই থেমে যায় বরিশালের ইনিংস। আরেক পেসার শরীফুল ইসলাম ২.১ ওভার বল করে মাত্র ৯ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ