বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে রাণীনগরে তৈরি হচ্ছে সাব-ষ্টেশন

রাণীনগর প্রতিনিধি:

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর এলাকায় প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে পল্লী বিদ্যুতের সাব-ষ্টেশনের কাজ চলছে। এ মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করে আগামী অক্টোবর মাসেই ষ্টেশনটি চালু করা হবে বলে আশা করছেন কর্তৃপক্ষ। ষ্টেশনটি চালু হলে প্রায় ২২ হাজার গ্রাহক সেখান থেকে বিদ্যুৎ পাবে। একদিকে যেমন লো-ভোল্টেজের হাত থেকে রক্ষা পাবে তেমনি লোড শেডিংয়ের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে উপজেলার অর্ধ লক্ষাধিক গ্রাহক।

জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের বর্তমানে গ্রাহক ৫০ হাজার ৩ শ’। গ্রাহকগুলোর জন্য রাণীনগর উপজেলার চকমুনু সাব-ষ্টেশন থেকে পুরো রাণীনগর উপজেলা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। উপজেলার কোথাও ঝড়-বৃষ্টির কারণে গাছের ডাল ভেঙ্গে অথবা কোন সমস্যা দেখা দিলে ষ্টেশনটি বন্ধ রেখে কাজ করতে হয়। এতে করে পুরো উপজেলাবাসী ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। ফলে নানা রকম কাজকর্ম নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাহকরা।

এছাড়া অধিক দূরত্ব থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় লো-ভোল্টেজের সমস্যাসহ অনাকাঙ্খিত লোডশেডিংয়ে পড়ে গ্রাহকরা। ফলে ইরি-বোরো মৌসুমে জমিতে পানি সেচসহ নানা ভোগান্তি পোহাতে হয় বিদ্যুৎচালিত গভীর-অগভীর নলকূপ ও শিল্প প্রতিষ্ঠানকে। গ্রাহকদের দোরগোড়ায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে এবং সেবার মান উন্নয়নে স্থানীয় সাংসদ ইসরাফিল আলমের প্রচেষ্টায় ১০ মেগাওয়াড ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আরো একটি সাব-ষ্টেশন কাজের জন্য প্রকল্প হাতে নেয় কর্তৃপক্ষ। আবাদপুকুর এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের একটি সাব-ষ্টেশন নির্মাণ করার জন্য জমি কিনে গত জানুয়ারী মাসে কাজ শুরু করা হয়।

রাজশাহী ডিভিশনাল প্রজেক্ট-২ (আরআরডিপি-২) এর আওতায় প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি অর্থায়নে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে নির্মাণ কাজ বেশ এগিয়েছে। ষ্টেশনটি চালু হলে রাণীনগরের চকমুনু ষ্টেশন থেকে চারটি এবং আবাদপুকুর ষ্টেশন থেকে কালীগ্রাম, পারইল, একডালা ও বড়গাছা ইউনিয়নের জন্য চারটি ফিডারে ভাগ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। তবে চকমুনু ষ্টেশন থেকে আবাদপুকুর সাব-ষ্টেশন অনেক উন্নত বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ।

এব্যাপারে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর রাণীনগর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের একান্ত প্রচেষ্টায় প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার আবাদপুকুর এলাকায় ১০ মেগাওয়াড ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি সাব-ষ্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। এ মাসেই কাজ শেষ করে আগামী অক্টোবর মাসেই ষ্টেশনটি চালু করার লক্ষ্যে খুব দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। ষ্টেশনটি চালু হলে উপজেলার সব গ্রাহকরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা পাবেন।

স/শা