বিজয়া দশমীতে যে ৫টি খাবার খেলে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়

আজ মহা নবমী। পূজার বাকি মাত্র আর একদিন। বিজয়া দশমীর কথা মনে হলেই মন খারাপ হয়ে যায়। তবে এই তিথিতেই বিজয়ী হয়েছিলেন মা দূর্গা। বিজয়া দশমী তিথিতে মা দূর্গা সকল অশুভ শক্তির বিনাশ করেন এবং সারা বছরের জন্য আমাদের আনন্দে ভরিয়ে রেখে যান। এই বিজয়া দশমীতে সহজ কিছু উপায়ের মাধ্যমে নিজের ভাগ্যের উন্নতি ঘটানো সম্ভব হয়। দশমীকে কেন্দ্র করে যেসব খাবার বানানো হয় তা শুধু মুখোরোচকই হয় না বরং ভাগ্য প্রসন্ন করে।

জিলাপি ও ফাফরা:

ভারতের গুজরাটে দশমীর দিনে দুইটি আবশ্যক খাবার হলো জিলাপি ও ফাফরা ( পাপড় জাতীয় খাবার)। এই দিনে কেন ফাফরা ও জিলাপি খাওয়া হয় তার পিছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। জনশ্রুতি অনুসারে, ভগবান রাম শশকুলি নামে একটি মিষ্টি পছন্দ করতেন যা বর্তমানে জিলাপি নামে পরিচিত। এই মিষ্টির প্রতি তার ভালবাসা এতটাই বেড়েছিল যে তিনি জিলাপি খেয়ে রাবণের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছিলেন। ফাফরা খাওয়ার কারণ হলো হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অনুসারে ময়দা (বেসন) ব্যবহার করে প্রস্তুত করা হয়েছে এমন কিছু খেয়ে উপবাস শেষ করতে হয়।

সুইট দোসা:

সাউথ ইন্ডিয়ার খুব জনপ্রিয় একটি খাবার দোসা। কর্ণাটকে বিজয়া দশমী ও স্বরসতী পূজার দিনে ভিন্নধর্মী সুইট দোসা বানানো হয়। গুড়,নারকেল,চালের আটা ও গমের ময়দা দিয়ে খুব সহজেই খাবারটি তৈরি করা যায়। গুড় থাকায় কম ক্যালোরিযুক্তও খাবারটি। হিন্দু ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস দশমীর দিনে এই খাবার সারা বছরের সৌভাগ্য বয়ে আনে।

পান:

পান বা সুপারি কেবল দশমীর দিনই না ভগবান হনুমানকে উৎসর্গ করা হয়। বলা হয় যে পান হ’ল শ্রদ্ধা ও ভালবাসার নিদর্শন, যা ‘খারাপের বিরুদ্ধে ভালোর জয়’ উদযাপন করে। জনশ্রুতি অনুসারে, কুম্ভকর্ণ এবং মেঘনাথ বিজয়া দশমীর দিনে রামের বিজয় উদযাপন করতে পান খেয়েছিলেন। ভারত বিহার ও উত্তর প্রদেশে দশমীর দিনে পান খাওয়ার অনেক প্রচলন আছে।

দই:

নতুন কিছু করার আগে দই চিনি খাওয়ার রীতি অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। এমনকি দশমীর উৎসবে দই একটি খাবার আইটেম যা, দেবী দুর্গার কাছেও দেওয়া হয়। বিশেষত উড়িষ্যাতে দেবী দূর্গাকে রান্না করা ভাত ভিজিয়ে তার সাথে দই দিয়ে উৎসর্গ করা হয়। এরপর রাবণ বোধ করা হয়।

রসগোল্লা:

ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের মত রসগোল্লা পশ্চিবঙ্গেরও সিগনেচার ডিশ। চিনির সিরায় ডুবানো রসগোল্লাকে শুভ মিষ্টান্ন হিসেবে ধরা হয়। বিজয়া দশমী ও নবরাত্রিতে বিশেষ খাবার হিসেবে ধরা হয় রসগোল্লাকে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ