শুক্র-শনি হাউজফুল গেছে ‘উনপঞ্চাশ বাতাস’

গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে চলচ্চিত্র ‘উনপঞ্চাশ বাতাস।’  ম্যাজিক রিয়েলিজম থেকে রিয়েলিজম, রোমান্টিসিজম, ফ্যান্টাসি, হরর, থ্রিলার ও সায়েন্স ফিকশন, ছবিটিতে দর্শকেরা এসব কিছুর সমন্বয় খুঁজে পেয়েছেন। এমনটাই দাবি করছিলেন সম্প্রতি ছবিটি দেখে আসা কয়েকজন দর্শক।

রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সের ৩ টি শাখাতেই মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। এবং প্রত্যেক শাখাতেই গত শুক্র ও শনিবার ছবিটি হাউজফুল গেছে বলে কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ।

মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের থিয়েটারগুলো খোলার পরে আমরা ৫ টা ছবি মুক্তি দিয়েছি। সবগুলোই ভালো যাচ্ছে। উনপঞ্চাশ বাতাস ছবিটির কোথা যদি বলেন, তাহলে বলবো, খুবই ভালো যাচ্ছে। এটা আশা করি নি, শুক্র ও শনিবার ছবির প্রত্যেক শো হাউজফুল গেছে। দর্শক আসছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমরা টিকেট বিক্রি করছি। এরমধ্যে আমরা প্রথম এক হাজার জনের জন্য অর্ধেক দামে টিকেট দেওয়ার একটি ঘোষণা দিয়েছিলাম, সেটা যে এতো রেসপন্স পাবো কে জানতো! মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেছে এক হাজার টিকেট। তারপরেও ফোন আসছে অনবরত।’

গত ১৬ অক্টোবর সারাদেশের হলগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই অর্থে নতুন ছবি মুক্তি দেওয়া হয়নি। মূলত লগ্নি করা অর্থ ফেরত আসবে না, এজন্য প্রযোজকেরা ছবি মুক্তি দিতে চাইছেন না। প্রথম সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে সাহসী হিরো আলম নামের একটি স্বল্প বাজেটের ছবি। দ্বিতীয় সপ্তাহে নতুন ছবি মুক্তির ঘোষণা দেন নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। ২৩ তারিখে মুক্তি পায় উনপঞ্চাশ বাতাস।

দর্শকেরা ছবির গল্প সম্পর্কে বলছেন, ‘প্রতিটি দৃশ্য খুব বাস্তবিকভাবে তুলে ধরেছেন। এমন গল্প বলা হয়নি, যার ব্যখ্যা নেই। ছবিতে প্রেমের গল্প বলা হয়েছে। সে প্রেম কার্যত অবাস্তবতার গল্প বললেও সিনেমায় খুবই বাস্তবিক মনে হবে। একজন মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভের জীবনের গল্প যেমন উঠে এসেছে, তেমনই উঠে এসেছে তাঁর মানবিকতাবোধের। পুরো ছবি জুড়ে যে গল্পের প্রলেপ পড়েছে তা মানবিকতার। মানুষের জন্যই, মানুষের উপকারের জন্যই মানুষের জন্ম।’

ছবিতে অভিনয় করেছেন  ইমতিয়াজ বর্ষণ ও শার্লিন ফারজানা। এছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইলোরা গহর, মানস বন্দোপাধ্যায়, ইনামুল হক ও ফারিহা শামস সেওতি। রেড অক্টোবরের ব্যানারে ছবিটি প্রযোজনা করেছেন আসিফ হানিফ ও সৈয়দা শাওন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ