বিএনপির এমপি হারুনের জামিন স্থগিত আবেদনের শুনানি আপিল বিভাগে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

শুল্ক ফাঁকির অভিযোগের মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদকে হাইকোর্টের দেয়া ৬ মাসের জামিন স্থগিত চেয়ে দুদকের আবেদনের ওপর শুনানি হবে আপিল বিভাগে।

মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

এর আগে এমপি হারুনকে সোমবার বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের একক বেঞ্চ জামিন দেন। পরে দুদক এই জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে।

আদালতে হারুন অর রশীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সৈয়দ মিজানুর রহমান।

গত ২১ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে এমপি হারুনকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে হারুন অর রশীদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের এমপি হারুন একাদশ জাতীয় সংসদে বিএনপির সংসদীয় দলের নেতা।

পলাতক আসামি চ্যানেল নাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এনায়েতুর রহমান বাপ্পিকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এ ছাড়া অপর পলাতক আসামি গাড়ি ব্যবসায়ী স্কাই অটোসের মালিক ইশতিয়াক সাদেককে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় এমপি হারুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

এ ছাড়া রায়ে অপর দুই পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। দুদকের কোর্ট পরিদর্শক মো. আশিকুর রহমান  এ সব তথ্য নিশ্চিত করেন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০০৫ সালের ১৯ এপ্রিল হারুন অর রশীদ এমপি কোটায় শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি করেন। এর এক সপ্তাহ পরই শুল্কমুক্ত গাড়িটি তিনি বিক্রি করে দেন। গাড়িটি তিনি স্কাই অটোসের মালিক ইশতিয়াক সাদেকের মাধ্যমে ক্রেতা মো. এনায়েতুর রহমানের কাছে বিক্রি করেন। গাড়িটির ইনভয়েস মূল্য ১১ লাখ ৬৪ হাজার ১১০ টাকা।

শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি করে শর্তভঙ্গ করে তা বিক্রি করায় সরকারের ৮৭ লাখ ৭১ হাজার ৬১২ টাকার শুল্ক বাবদ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ এসআই মো. ইউনুচ আলী বাদী হয়ে রাজধানীর পল্লবী থানায় মামলা করেন।

তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৮ জুলাই দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মোনায়েম হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে এ চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। এর ১ মাস পরই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠনের মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করেন।