বাহানা না করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন : চরমোনাই পীর

শিক্ষা নাগরিকদের অন্যতম মৌলিক অধিকার। এই অধিকার কুক্ষিগত বা তা থেকে বঞ্চিত করার এখতিয়ার সরকারের নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ- এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীরসাহেব চরমোনাই)।

তিনি আজ শনিবার ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি অভিযোগ করেন, করোনা পরিস্থিতিকে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করায় শিক্ষাব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণভাবে বিঘ্নিত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বের সব দেশেই শিক্ষা কার্যক্রম স্বাচ্ছন্দ্যভাবে পরিচালিত হলেও বাংলাদেশে গত দুই বছরের অভিজ্ঞতা থেকে সুপরিকল্পিত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে ক্ষতির শিকার হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। বিকল্প হিসেবে যে অনলাইন ক্লাস ও শিখন ক্লাসের কথা বলা হচ্ছে এর ফলে ধনী-দরিদ্রদের শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য করা হয়েছে। এ সময় তিনি টালবাহানা না করে অনতিবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমাদ সাম্প্রতিক সময়ে কওমি মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পর্যবেক্ষণ ও শিক্ষা আইনের বিষয়ে আলোচনা অযাচিত ও অশোভন উল্লেখ করে বলেন, এই আইন সম্পন্ন হলে কওমি শিক্ষাব্যবস্থা পুরোপুরি সরকার নিয়ন্ত্রিত হবে যা স্বীকৃতির সময় ইতিপূর্বে স্পষ্টভাবে আলোচিত হয়েছে।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর মজলিসে শুরা সভাপতি নূরুল করীম আকরাম এর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন এর সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, মজলিসে শুরা সদস্য ইউসুফ আহমাদ মানসুর, ইবরাহীম হুসাইন মৃধা, নূরুল বশর আজিজী, শেখ ইহতেশাম বিল্লাহ আজিজী, সুলাইমান দেওয়ান সাকিব, সিরাজুল ইসলাম, মুনতাছির আহমাদ, মাহবুব হোসেন মানিক, আল আমিন সিদ্দিকী, শিব্বির আহমাদ, মিশকাতুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, সুলতান মাহমুদ, মাহবুবুর রহমানসহ মজলিসে শুরা নেতৃবৃন্দ।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ