বাসে প্রকাশ্যে ছাত্রীদের সামনে হস্তমৈথুন, তাকিয়ে দেখল সবাই কিন্তু কিছুই বলল না!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

মেট্রো রেলওয়ে স্টেশনে প্রেমিক যুগল আলিঙ্গন করায় মারধরের ঘটনার রেশ এখনও থামেনি। এরই মাঝে ১২ দিনের মাথায় চলন্ত বাসে প্রকাশ্যে হস্তমৈথুন করেছেন এক ব্যক্তি।

আজ শনিবার ভারতের কলকাতার শ্যামবাজারের কাছে চলন্ত বাসে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বাসে থাকা দুই ছাত্রী চিৎকার করার পরেও এগিয়ে আসেনি কেউ! ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

বাসে থাকা দুই ছাত্রী জানান, হেদুয়া থেকে কোচিং থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তার এক বান্ধবী। হঠাৎ তাদের নজরে পড়ে তাদের পেছনের আসনে থাকা এক প্রৌঢ় সহযাত্রী অদ্ভুত ভঙ্গিতে তাদের দিকে তাকিয়ে হস্তমৈথুন করছেন।

কলকাতার একটি কলেজে পড়া বিএসসি দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী বলেন, দুপুর তখন ১২টা হবে। টিউশন নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। হাতিবাগান ঢোকার আগে হঠাৎ দেখি আমাদের দেখিয়ে দেখিয়ে ওই লোকটি অমন করছে। আমি চিৎকার করি। কেউ কোনো প্রতিবাদ না করায় ভিডিও করতে শুরু করি। তাতেও লোকটা থামেনি। আমার বন্ধুটি ভয় পাচ্ছিল। ও ভিডিও করতে বারণ করে। এরপর ভয় পেয়ে আমরা দুইজনে মিলে চিৎকার করি। কিন্তু বাসের কোনো যাত্রীই তখন এগিয়ে আসেননি।

পরে হস্তমৈথুন করা ব্যক্তি বাস থেকে নেমে গেলে ওই ছাত্রী বাসের কন্ডাক্টরকে বিষয়টা জানান। কিন্তু কন্ডাক্টর ওই ছাত্রীকে অবাক করে দিয়ে বলেন, ‘কী করব বলুন, কার মনে কী আছে, কী করে বুঝব?’

ছাত্রী বলেন, আমি চিৎকার করে বলি, ওকে ধরুন। কিন্তু কেউ তাকে আটকালো না। তারপর লোকটি আসন ছেড়ে উঠে যায়। বাস তখনও চলছিল। শ্যামবাজার মোড়ের আগেই বাসটি একটু স্লো হতেই তিনি নেমে যান।

তার দাবি, এটাই প্রথম নয়, ১৫ দিন আগেও ওই ব্যক্তিই একই কাজ করেছিলেন। কিন্তু সেবার ভয় পেয়ে কাউকে কিছু বলেননি। তবে এবার সাহস করে ভিডিও করেছেন।

এদিকে ছাত্রীর করা ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এরই মধ্যে কোনো এক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজে পোস্ট করলে পুলিশের পক্ষ থেকে ওই ছাত্রীকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়।

ওই ছাত্রী বলেন, আমি সঙ্গে সঙ্গে মেসেঞ্জারে ভিডিও এবং আমার অভিযোগ জানিয়েছি। এখনও কেউ কোনো যোগাযোগ করেননি। আমি শ্যামপুকুর থানায় লিখিতভাবে অভিযোগও করছি।

তবে এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, বাসে অশালীন অঙ্গভঙ্গির বিষয়ে এক ভদ্রমহিলা আমাদের মেসেজ করেছেন। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করারও প্রয়োজন নেই। তার পাঠানো ওই পোস্ট এবং ভিডিও আমাদের জন্য যথেষ্ঠ। আমরা ইতোমধ্যে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছি। যত দ্রুত সম্ভব ওই পুরুষকে চিহ্নিত করে কঠোর আইনি ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি রইল।