বাল্টিমোর সিটির রাস্তা থেকে নামিয়ে নেওয়া হল জিয়ার নামফলক

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড স্টেটের বাল্টিমোর সিটির একটি রাস্তা থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামফলক সরিয়ে ফেলেছে স্থানীয় প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী পরিবারের পক্ষ থেকে গৃহীত উদ্যোগের ফলে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

সিটি মেয়রের সাথে এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই তা কার্যকর করা হয়।

বাল্টিমোরের ২০০ ওয়েস্ট সারাটগা স্ট্রিটে গত জুন মাসে ‘জিয়াউর রহমান ওয়ে’ নামফলক লাগানো হয়েছিল।

জিয়াউর রহমানের নামে এই নামকরণের বিরুদ্ধে সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী পরিবারের নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ করে আসছিলেন। লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর যুক্তির স্বপক্ষে প্রমাণপত্র ও দলিল দস্তাবেজ চেয়ে বসে সিটি মেয়র ব্রান্ডন এম স্কট। দেশ থেকে এসব প্রমাণাদি নিয়ে পিটিশন আকারে, সাথে পাঁচ শতাধিক স্বাক্ষরসহ তা জমা দেওয়া হয়।

পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার বিশ্লেষণের পর আবেদনকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীকে এক ভার্চুয়াল মিটিংয়ের সময় প্রদান করা হয় গত ৯ সেপ্টেম্বর।

এক বিশেষজ্ঞ প্যানেলসহ নেতৃবৃন্দ তাদের যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন এবং প্রয়োজনে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের হার্ডকপি প্রদানের অঙ্গীকার করেন। ফলশ্রুতিতে এই নামকরণ অপসারণের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, সিটির ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্ট-এর কর্মীরা ইতোমধ্যেই ওই নামফলক সরিয়ে ফেলেছেন।

শুরু থেকেই এ প্রক্রিয়ার নেতৃত্বে ছিলেন প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী। তাকে সহযোগিতা করেন ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, শামীম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট শাহ বখতিয়ার, মন্জুর চৌধুরী, এম এ করিম জাহাঙ্গীর, সাদেকুল বদরুজ্জামান পান্না, শরীফ কামরুল আলম হীরা, ফারুক হোসাইন, কায়কোবাদ খান, খন্দকার জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

মেরিল্যান্ড সিটির মেয়র কর্তৃপক্ষের সাথে ওই ভার্টুয়াল মিটিংয়ে বাংলাদেশ থেকে যুক্ত ছিলেন অ্যাপিলেট ডিভিশনের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত, সিটি মেয়রের পক্ষে ক্যাটালিনা রড্রিগেজ ও ডেভিড লিয়াম প্রমুখ।

উদ্যোগটি সফল হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী পরিবারের নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ড. সেলিম মাহমুদ, ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাবিব, দেওয়ান আশরাফ, নিউইয়র্কের স্থায়ী মিশনের প্রেস মিনিস্টার নূর এলাহী মিনাসহ সকলের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

তারা আরও বলেন, ভবিষ্যতেও আমরা প্রবাসের মাটিতে যেকোনও অপশক্তির নামে কোনও স্থাপনার নামকরণ করা হলে তা সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন