বুধবার , ১১ জুলাই ২০১৮ | ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বাদল ফরাজির মুক্তি চেয়ে করা রিট খারিজ

Paris
জুলাই ১১, ২০১৮ ১২:০৪ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ভুল বিচারে ভারতে কারাভোগকারী বাদল ফরাজির মুক্তি চেয়ে করা রিট উত্থাপিত হয়নি মর্তে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বাদল ফরাজির বিষয়ে সরকারের সব কার্যক্রম ইতিবাচক বলে আদেশে উল্লেখ করেছেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার কাওছার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ।

এর আগে গত ৮ জুলাই হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদন দাখিল করেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার।

ওই রিটে বাদল ফরাজিকে জেলে আটক রাখা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারির আবেদন জানানো হয়।

স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব ও পররাষ্ট্র সচিব এবং আইজি প্রিজনকে রিটে বিবাদী করা হয়।

বিনা অপরাধে ভারতের কারাগারে প্রায় ১০ বছর বন্দি থাকার পর গত শুক্রবার দেশে ফিরিয়ে আনা হয় বাদল ফরাজিকে। তিনি বর্তমানে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের কাছে ১৭ নম্বর ফারুকি রোডের বাসিন্দা আবদুল খালেক ফরাজি ও সারাফালি বেগমের ছেলে বাদল টিএ ফারুক স্কুলের অষ্টম শ্রেণি পাস।

বাদলের ইচ্ছা ছিল তাজমহল দেখবে। এমন ইচ্ছায় ২০০৮ সালের ১৩ জুলাই দুপুরে বেনাপোল অভিবাসন কার্যালয়ে সব প্রক্রিয়া শেষ করে ভারতের হরিদাসপুর সীমান্তে প্রবেশের পরই নয়া দিল্লির একজন নারীকে হত্যার অভিযোগে বাদলকে আটক করে বিএসএফ। হিন্দি বা ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে না পারার কারণে বিএসএফের কর্মকর্তাদের বোঝাতেই পারেননি যে খুনের অভিযোগ যে বাদলকে খোঁজা হচ্ছে তিনি সেই ব্যক্তি নন।

২০০৮ সালের ৬ মে দিল্লির অমর কলোনিতে এক বৃদ্ধাকে খুনের অভিযোগে বাদল সিং নামে এক ব্যক্তিকে খুঁজছিল পুলিশ। তাকে ধরতে সীমান্তেও সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু শুধু দুজনের নাম এক হওয়ায় বাংলাদেশি নাগরিক বাদল ফরাজিকে আটক করে বিএসএফ।

পরে ওই খুনের অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ নম্বর ধারায় অভিযোগ করা হয় বাদলের বিরুদ্ধে।

২০১৫ সালের ৭ আগস্ট বাদলকে দোষী সাব্যস্ত করে দিল্লির সার্কেট আদালত বাদলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। দিল্লি হাইকোর্টও নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখে। পরে বাদল ফরাজিকে নেয়া হয় দিল্লির তিহার জেলে।

বিনা দোষে এই সাজা মেনে না নিয়ে বাদল ফরাজি দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহায়তায় সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করেন। কিন্তু শীর্ষ আদালতও বাদলের আবেদন খারিজ করে দেন। ফলে গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে জেলেই কাটাতে হয়েছে বাদলকে।

সর্বশেষ - জাতীয়