বাদলের স্ট্যাটাস নিয়ে চাঞ্চল্য

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে বাদলকে সাদা পোশাকের লোকজন নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাদলের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দেখা যায়।

 

সেখানে তিনি লেখেন-‘সবাই ধৈর্য ধরুন। দেহে একবিন্দু রক্ত থাকতেও প্রিয় নেত্রী ও প্রিয় নেতার অপমান আমরা সইব না। কোম্পানীগঞ্জকে অপশাসনের হাত থেকে মুক্ত করব ইনশাআল্লাহ। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। দেখা হবে মুক্ত কোম্পানীগঞ্জে।’

 

এই স্ট্যাটাস ছড়িয়ে পড়ার পর তার অনুসারীরাও এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করেছেন।

 

এদিকে প্রাচীন উপজেলা সদর কোম্পানীগঞ্জে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল। প্রতিদিনের মতোই সকালে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বসেন ব্যবসায়ীরা। বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র চৌমুহনী। এরপরই বড় বাণিজ্য কেন্দ্র কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট। এখানে গভীর রাত পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকলেও এখন সন্ধ্যা নামার পরপরই বেশির ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়।

 

এ পরিবর্তন মির্জা কাদের ও মিজানুর রহমান বাদল মুখোমুখি অবস্থান নেয়ার পর থেকেই। এক মাসের ব্যবধানে ব্যস্ততম বসুরহাটের এ পরিবর্তনই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে আতঙ্কের বিষয়টি স্পষ্ট করে তোলে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল ৪টার দিকে নোয়াখালী প্রেস ক্লাব এলাকার রেড ক্রিসেন্ট ভবনের নিচে একটি দোকানে বসা ছিলেন মিজানুর রহমান বাদল। এ সময় সাদা পোশাকের কয়েক ব্যক্তি সেখানে গিয়ে বাদলের পরিচয় নিশ্চিত করার পর তাকে ডেকে দূরে নিয়ে কথা বলতে চান। এতে বাদল আপত্তি জানালে ওই ব্যক্তিরা বলেন, ‘আপনি ভদ্র মানুষ। আশা করি আপনাকে দ্বিতীয়বার কোনো কথা বলতে হবে না।’ তখন তিনটি সাদা মাইক্রোবাস এসে সেখানে থামলে একটিতে বাদলকে তুলে নিয়ে চলে যায় ওই ব্যক্তিরা।

 

এদিকে কাদের মির্জা ঘোষিত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আরিফুর রহমান বাদী হয়ে বুধবার রাতে একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে- গত সোমবার (৮ মার্চ) নারী দিবসে বসুরহাট বাজারে আলেয়া ভবনে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে কর্মসূচি পালন করার সময় হামলা চালানো হয়।

 

হামলাকারীরা বসুরহাট বঙ্গবন্ধু চত্বরে এসে মুজিব শতবর্ষ পালনের মঞ্চেও তাণ্ডব চালায়। এ সময় তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছবি ভাংচুর, মালামাল লুটসহ অনেককে মারধর ও আহত করে।